পুঠিয়ায় প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ, ধর্ষণের অভিযোগ

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রেমিক যুগলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। প্রেমিকার পরিবারের দাবী, ভুক্তভোগীকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে ফেলে সে পালানোর চেষ্টা করে। তারা এর বিচার দাবী করেছেন। পুলিশ বলছে দু’জনই প্রাপ্ত বয়স্ক বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বেলপুকুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে বেলপুকুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। ঘটনার স্থান পুঠিয়া থানা এলাকার মধ্যে হওয়ায় তাদের সেখান থেকে একইদিন সন্ধ্যার দিকে পুঠিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বেলপুকুর থানা পুলিশ।

আটককৃত প্রেমিকের নাম শ্রী সুনিল কুমার (২২) সে জামালপুর জেলার সদর থানার বজরাপুর এলাকার হরিজন পল্লীর বাসিন্দা। ভুক্তভোগী প্রেমিকাও (১৮) একই পল্লীর জনৈক ব্যক্তির মেয়ে। তারা ঈদের দিন শুক্রবার উপজেলার বানেশ্বর বাজারে একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছে। পরেরদিন শনিবার প্রেমিকাকে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে প্রেমিক সুনিল। বেলপুকুর এলাকায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ড দেখে স্থানীয়রা তাদের পুলিশে দেয়।

ভুক্তভোগী তরুণীর মামা জানান, সুনিল ও ওই তরুণীর বাড়ি জামালপুর জেলার সদর থানার বজরাপুর মহল্লার হরিজন পল্লীতে। তারা একই পল্লীর বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গোপনে তারা বিয়েও করেছিলো। তবে পরিবার থেকে তাদের বিয়ে মেনে নেয়া হয়নি। কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীকে তার মামার বাড়ি নাটোরে পাঠিয়ে দেয় পরিবার। ঈদের দিন হঠাৎ ওই তরুনি মামার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরেরদিন শনিবার তার খোঁজ হয়।

পুঠিয়া থানায় তরুণীর বরাত দিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানান, তার মামার বাড়ি থেকে কৌশলে সুনিল ওই তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে এসে বানেশ্বরের একটি হোটেলে (হোটেল হাবিবে) ওঠে। সেখানে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। পরের দিন সকালে সে তরুণীকে ফেলে হোটেল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। সে রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিলো ওই তরুণীও তার পিছু নিলে বেলপুকুর এলাকায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।

তারা আরো জানান, সুনিল মেয়েটির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তাকে কৌশলে নিয়ে এসে হোটেলে উঠেছিলো এবং ধর্ষণ করে পালানোর চেষ্টা করেছিলো। তারা এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।

এব্যাপারে বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, হোটেলে নিয়ে মেয়েটিকে ছেলেটি ধর্ষণ করেছে। যেহেতু ঘটনাস্থল পুঠিয়া থানা এলাকার মধ্যে সেহেতু তাদের পুঠিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মুঠোফোনে জানান, তারা দু’জনই প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি বিস্তারিত জেনে তারপর ব্যবস্থা নেবেন।

এএইচ/এস