পুঠিয়ায় হত্যার বিচার দাবিতে সাঁটানো পোস্টার ছেড়ার মামলায় এমপি মনসুরের ১৩ কর্মীর জামিন

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শ্রমিক নেতা নুরুল হত্যার বিচার দাবিতে সাঁটানো পোস্টার ছেড়া মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাক্তার মুনসুর রহমানের ১৩ জন কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম।

জামিন প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধক্ষ গোলাম ফারুক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, উপজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আ.লীগ নেতা আবদুর রহমান পটল, কোষাধ্যক্ষ কেএম শাহীন, বাস স্টপেজের টিকিট মাস্টার আবদুল আলিম, যুবলীগ কর্মী টাইফ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান মিঠু, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, ছাত্রলীগ কর্মী স্মরণ, রিপন, শামিম, রকি ও মতিন। এরা সবাই রাজশাহী-৫ পুঠিয়া দুর্গাপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাক্তার মনসুর রহমানের কর্মী বলে জানা গেছে।

এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মামলার বাদী নিগার সুলতানার বাবার খুনিদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন পুঠিয়া উপজেলার শ্রমিক অফিসের সামনে পোস্টার সাঁটাচ্ছিলেন। এসময় অভিযুক্তরা সাঁটানো পোষ্টার ছিড়ে ফের পোষ্টার না সাঁটানোর হুমকি প্রদান করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন। পরে তিনি রাতে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযুক্তরা জামিন নিয়েছেন। বুধবার বিকেলে তারা জামিনের রিকল থানায় জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এব্যপারে জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পোস্টার ছেড়া এমনকি হুমকি ধামকির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে জামিন নিয়েছি।

উল্লেখ্য যে, গত ১১ জুন পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করছে।

স/অ