পুঠিয়ায় থেমে নেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল কসমেটিক উৎপাদন

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

সরকারি নির্দেশনা থাকলেও পুঠিয়া উপজেলায় রং ফর্সাকারী ভেজাল ও নামিদামী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল কসমেটিক তৈরির কারখানাগুলো বন্ধ হয়নি এখনো। অবৈধ এই কারখানাগুলো বন্ধ করতে গত ৬ বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে এখনো তার বাস্তবায়ন হয়নি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কারখানার মালিকরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন চালু রেখেছে।

জানা গেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘ কয়েক বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানব দেহের ক্ষতিকারক রং ফর্সাকারী নকল ও ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে সারা দেশে বাজারজাত করে আসছে। ওই প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে মানবদেহে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। এ কারণে সকল ভেজাল ক্রিম কারখানা নিয়ন্ত্রণে ২০১৭ সালের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের যুগ্ম-সচিব ফরিদ আহম্মদ স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করেন।

পরিপত্রে ১২টি ভেজাল ও অবৈধ ক্রিম কারখানার নাম উল্লেখ করা হয়। কারখানাগুলো হচ্ছে মডার্ন হারবাল, রুপসী গোল্ড, মেডনা স্পট ক্রিম ও হারবাল, চ্যালেঞ্জার হারবাল ও প্রসাধনী, ডিজিটাল হারবাল, সীনা স্পট ক্রিম, রোমাঞ্চ হারবাল ও স্পটক্রিম, ডায়মন্ড স্পট ক্রিম, ঝিলিক সলুসন, লাউস ষ্টার গোল্ড ও আইকন হারবাল, লাকি সেভেনস্পট ক্রিম এবং জ্যোতি বিউটি হারবাল।

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ক্রিম কারখানার মালিকরা বিএসটিআই কর্তৃক নামমাত্র দু’একটি পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন নিয়েছে। পরে কারখানার মালিকরা গোপনে কসমেটিক তৈরি করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করছে। কারখানার মালিকরা মানব দেহের ক্ষতিকারক স্টিলম্যান, টিয়ারিক এসিড, আইসোপ্রোপাইল, মাইরিস্টড, সাধারণ পানির মিশ্রণে রং ফর্সাকারী ক্রিম ও বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করছে। এ সকল পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন বয়সের নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, যেখানেই ভেজাল প্রসাধনী উৎপাদন করা হয়, সেখানেই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আর ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জি/আর