বৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় চিকিৎসা না দিয়ে রোগীর মুখে প্যাড ছুড়ে মারলেন ডাক্তার!

নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯ ৭:৩৮ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ডাক্তারের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের শিকার হয়েছে তিন শিশু রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের বাচ্চাদের তিনি দেখেননি। এমনকি ডাক্তারকে রোগীদের দেখে যাওয়ার অনুরোধ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মুখের ওপর প্যাড ছুড়ে চেম্বার থেকে বেড়িয়ে যান।

তবে অভিযুক্ত ডাক্তার প্যাড ছুরে মারার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এবং তার ভুল স্বীকার করে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে পুঠিয়া হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্স ডা. ফজলুর রহমানের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে সরকারী হাসপাতালে সাধারণ মানুষ টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও চিকিৎসা না পেয়ে উল্টো ডাক্তারের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক অভিভাবক। সাধারণ রোগির সঙ্গে একজন ডাক্তারের এমন আচরণের সমালোচনা করে নিন্দা জানানো ছাড়াও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই পোষ্টে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও জিউপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন জানান, তার আড়াই মাস বয়সের ছেলে সন্তানের সর্দি-জ্বর হওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি পুঠিয়া সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কাউন্টারে ৫ টাকা পরিশোধ করে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ফজলুর রহমানের চেম্বারের সামনে গিয়ে লাইনে অপেক্ষা করছিলেন। দুপুর হয়ে যাওয়ায় তার আড়াই মাস বয়সের শিশু সন্তানসহ তিনটি শিশুকে না দেখেই ডাক্তার তার সময় শেষ বলে চেম্বার থেকে উঠে আসতে লাগেন। শাহিন বলেন, ‘এসময় আমরা ডাক্তার সাহেবকে অনুরোধ করে বলি- “স্যার আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি, আর মাত্র তিনজন বাচ্চা আছে তাদের দেখে যান”। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার ফজলুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে টেবিলের ওপরে থাকা ওষুধ কোম্পানির নোট প্যাড তুলে নিয়ে রোগি ও তাদের পরিবারের লোকজনের মুখের ওপর ছুড়ে মেরে তিনি হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।

সুত্র মতে, পরে তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতদের বিষয়টি জানালে তারা জানায়-তিনি (ডাক্তার) একটু রাগি মানুষ; কিছু মনে করবেন না- বলে সান্তনা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠান।

এ বিষয়ে হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) চিকিৎসক ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও হাসপাতালের টিএইসও নাজমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি ডাক্তার ফজলুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমার কাছে স্বীকার করেছেন- চেম্বারে কয়েকজন রোগির সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তাদের চিকিৎসা না দিয়েই তিনি চলে গিয়েছিলেন। তবে কাউকে তিনি প্যাড ছুড়ে মারেননি। এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে রোগির সঙ্গে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুপুর হওয়ার সাথে রোগী রেখে চলে যাওয়ার কোন বিধান নেই। রোগী থাকলে তাদের চিকিৎসা দিয়েই যেতে হবে।

 

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর