পুঠিয়ায় গরিবের জন্য বরাদ্দ সরকারি চাল জনপ্রতিনিধির হাড়িতে

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ হওয়া ভিজিডির সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভুগি ওই জনপ্রতিনিধির নামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি জিউপাড়া ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সমাপ্তি খাতুন তিনি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পূর্ব ধোপাপাড়া গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

ভুক্তভগি নারী একই ওয়ার্ডের ফজলুল শিকদারের স্ত্রী নাছিমা খাতুন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ড করার জন্য সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সমাপ্তিকে প্রয়োজনিয় কাগজপত্র দেন নাছিমা বেগম। তার নাম সে বছর তালিকাভুক্ত হলেও ভিজিডি কার্ডের সুবিধা পাননি তিনি। তার কাগজপত্র দিয়ে ইউপি সদস্য সমাপ্তি খাতুন ২১ মাস ধরে ভিজিডি কার্ডের মাসিক ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করেছেন। পরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তালিকায় আবেদন করতে গিয়ে নাছিমা বেগম জানতে পারেন গত অর্থবছরে তালিকায় তার নাম ছিলো এমনকি নিয়মিত চালও উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ তিনি এব্যপারে কিছুই জানেন না।

বিষয়টি জানতে পেরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে একজন দরিদ্র ব্যক্তি প্রতি মাসে বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে সরকারি চাল পায়। এ কার্ডের মাধ্যমে ২ বছরে একজন ১৮ মন চাল বিনা পয়সায় পেয়ে থাকেন।

এব্যপারে অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি সমাপ্তি খাতুনের সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন করলে তিনি এব্যপারে কথা বলতে চাননি।

জিউপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বর্তমানে জেল-হাজতে অবস্থান করায় তার সাথেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্টে অভিযোগ প্রমান হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ