পুঠিয়ায় কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ: সাবেক স্বামী গ্রেফতার

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নওয়াপাড়ায় এবার কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিন বখাটে মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার ওই কলেজ ছাত্রী পুঠিয়ার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায়  ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার প্রধান আসামী ও নির্যাতিত ওই কলেজ ছাত্রীর সাবেক স্বামী শাহজাহান আলীকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে থানার এসআই মতিউর, এএসআই জসিম উদ্দিন ও কফিল উদ্দীনসহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেফতার করেছে বলে সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি।

বর্তমানে ওই কলেজ ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটানটি ঘটেছে গত ২৮ সেপ্টেম্বর। তবে ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য তিন বখাটের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসা হচ্ছিল।

ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ওই তিন বখাটে হলো, পুঠিয়ার নওয়াপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে শাহজাহান আলী (২৪), আব্দুল জলিলের ছেলে শামীম (২৩) এবং আছের আলীর ছেলে ফারুক হোসেন (২৫)। এর মধ্যে শাহজাহান আলী হলো মেয়েটির সাবেক স্বামী। বেশকিছুদিন আগে মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। এরপর সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তখন থেকেই মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে থাকতো।

মেয়েটির পরিবার সুত্রে জানা যায়,এ ঘটনা কাউকে বললে স্বপরিবারে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল মেয়েটিকে। এতে করে প্রাণভয়ে ঘটানটি এতদিন কাউকে জানায়নি ওই কলেজ ছাত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রমেই তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকলে আজ বৃহস্পতিবার তিনি পুঠিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কলেজ ছাত্রীর বাবা সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ওই কলেজ ছাত্রী গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে নিজ এলাকায় তার নানীর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে রাত ৯ টার দিকে বাসায় ফেরার জন বের হয়। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা বখাটে তিন যুবক শাহজাহান আলী, শামীম এবং ফারুক মিলে মেয়েটিকে জোর করে ধরে নিয়ে যায় বাড়ির পার্শের একটি পেয়ারা বাগানের মধ্যে। এরপর তারা জোর করে মেয়েটিকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১১টার দিকে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় তারা। কিন্তু ঘটনাটি কাউকে বললে মেয়েটিসহ তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই বখাটেরা। তখন কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েটি বাড়িতে চলে আসে।

মেয়েটির বাবা আরও জানান, বাড়িতে আসার পর থেকে মেয়েটি ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। কিন্তু নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা করে ঘটনাটি কাউকে বলতে সাহস পায়নি। তবে অবস্থা ক্রমেই অবনতি হতে থাকলে ঘটনা সম্পর্কে খুলে বলে সে পরে তাকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে থানায় নিয়ে গেলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘ওই ঘটনায় বখাটে তিন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামী শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

স/শ