মঙ্গলবার , ২১ এপ্রিল ২০২০ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় করোনা প্রতিরোধে কাধে করে জীবানুনাশক ছিটালেন চেয়ারম্যান

Paris
এপ্রিল ২১, ২০২০ ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু করোনা মোকাবেলায় তার নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ন স্থানে নিজেই স্প্রে মেশিন কাধে নিয়ে জীবানুনাশক ছিটিয়েছেন। আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে নিজ হাতে জীবানুনাশক স্প্রে করেন। চেয়ারম্যান নিজ হাতে জীবানুনাশক স্প্রে করাটা ইতিবাচক ভাবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুঠিয়া সদর ইউনিয়নে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, করোনা মোকাবেলায় আক্রান্ত এলাকা ছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে জীবানুনাশক ছিটানো তদারকি করেছেন এমনকি নিজ কাঁধে স্প্রে মেশিন নিয়ে তিনি নিজেও জীবানুনাশক ছিটিয়েছেন। এ সময় তিনি প্রয়োজন ছাড়া এলাকাবাসীকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা সুমন শাহ জানান, বেলা সাড়ে ১১ টার সময় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ধনঞ্জয়পাড়া বদরের মোড়ে জীনানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান ছাড়াও ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহাবুল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি অমিত হাসান উপস্থিত ছিলেন। সেখানে চেয়ারম্যান নিজে স্প্রে মেশিন কাঁধে নিয়ে জীবানুনাশক ছিটিয়েছেন। করোনা সতর্কতায় চেয়ারম্যানের জীবানুনাশক ছিটানো ইতিবাচক ভাবে দেখে তার প্রশংসা করা হয়েছে।

নিজে জিবানুনাশক ছিটানোর কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁণ জানান, সোমবার পর্যন্ত পুঠিয়া সদর ইউনিয়নে দু’জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন। একজনের বাড়ি গন্ডোগোহালী অপরজনের তারাপুর। তারা দু’জনই নারী এবং গার্মেন্টস কর্মী। প্রশাসন আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে বাড়িতেই তাদের আইসলেশনে রেখেছে।

সোমবার রাতে মুঠোফোনে ঝন্টু বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা.মনসুর রহমানের নির্দেশে করোনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। করোনা সতর্কতায় মাইকিং লিফলেট বিতরন এমনকি প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ কুইক রেসপন্স কমিটি গঠন করেছি। তারা প্রতিনিয়ত ঢাকা ফেরত ব্যাক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের ওপর নজর রেখেছেন। বিধায় আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও আশেপাশের দুই একটি বাড়ি ছাড়া বেশি বাড়ি ঘর লকডাউনে পরেনি।

এসময় তিনি প্বার্শবর্তী জিউপাড়া ইউনিয়নের উদহারন দিয়ে বলেন, সেখানে প্রথম করোনা আক্রান্ত বাড়িসহ আশেপাশের ৩৩ বাড়ি লকডাউনে করা হয়েছে অন্যদিকে আমাদের আক্রান্ত ব্যক্তিসহ একজন প্রতিবেশির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে ।

স/আর

সর্বশেষ - নির্বাচিত খবর