পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় খাদিজা আক্তার (৩০) নামের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সে আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীকে আটক করেছে।আজ বুধবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
খাদিজা আক্তার (৩০) জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের স্ত্রী। তিনি পবা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে খাদিজা আক্তার ও স্বামী ওয়াহাবের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো এমনকি মাঝে মধ্যে খাদিজাকে তার স্বামী মারধরও করতো। বুধবার ভোরে হঠাৎ খাদিজার মৃত্যুর সংবাদ পায় স্থানীয়রা। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সে ব্যপারে জানাতে পারেনি তারা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে এবং স্বামীকেও আটক করে নিয়ে গেছে বলেও জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে খাদিজার ভাসুর এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এটা আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে পরকিয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী তাকে সন্দেহ করতো। তাই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলতো।
স/জে