পুঠিয়ায় সাত দিনে ১৬ গরু চুরি, আতঙ্কে রাত জেগে পাহারায় খামারিরা

পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। হঠাৎ চুরির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া রাত হলেই আতঙ্কে থাকেন খামারিরা। অনেকে আবার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গোয়াল। তবে পুলিশ বলছে, সম্প্রতি একটি সংঘবদ্ধ চক্র গরু চুরিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এই চোরদের ধরতে তৎপরতা চলছে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি গরু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে পুঠিয়া পৌরসভা ও সদর ইউনিয়ন, ভালুকগাছি ইউনিয়ন ও জিউপাড়া এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। সর্বশেষ পালোপাড়া গ্রামের ভুট্টু আলী ও তোফাজ্জল হোসেন খোকার তিনটি গরু চুরি হয়।

ধোকড়াকুল এলাকার ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, একসময় চোরেরা গরু চুরি করে হেঁটে যেত। আর এখন পিকআপ বা ট্রাক নিয়ে চুরি করে। চোরেরা গোয়াল থেকে গরু বের করার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে অন্য এলাকায় নিয়ে চলে যায়।

মকবুল হোসন নামের অপর একজন ক্ষুদ্র খামারি বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। পরিবারের সচ্ছলতা আনতে দুই-একটি করে গরু-ছাগল লালন-পালন করি। আবার অনেকের একমাত্র উপার্জন বলতে গরু। সারা দিন পরিশ্রম করে আমরা রাতে ঘুমাই। সেই সুযোগে চোরেরা গরুগুলো চুরি করে আমাদের নিঃস্ব করে দেয়।’

মকবুল হোসেন আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। এই আতঙ্কে বেশির ভাগ গরুর মালিকেরা রাত জেগে গোয়াল পাহারা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। আর ঈদ সামনে রেখে হঠাৎ গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। চুরি প্রতিরোধে রাতে পুলিশের অতিরিক্ত দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের টহল বাড়ানো হচ্ছে। চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় আলোচনাসভার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন ও সহযোগিতা করতে বলা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।