পুঠিয়ায় রাজনৈতিক সহবস্থান নিশ্চিতকরণে সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন

পুঠিয়া প্রতিনিধি :
পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুরে ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সহায়তায় পুঠিয়া পিস ফ্যসিলিটেটর গ্রুপ রাজনৈতিক সহবস্থান নিশ্চিত করণে একটি সম্প্রীতির সমাবেশ আয়োজন করে। সভায় আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জতীয় পার্টিসহ সুশিল সমাজের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

পুঠিয়া উপজেলা যুবদেলের যুগ্ম-আহবায়ক ও পিএফজি এম্বাসেডর রিপন রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো. আব্দুস সামাদ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এনামুল হক, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রি ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়রম্যান মৌসুমি রহমান, সৈয়দপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদিন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুখসানা বেগমসহ বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভার সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, ২০০২ সালে বিএনপির আমলে আমাকে নির্মমভাবে আহত করা হয় যার বহাল সাক্ষী এখনও আমি বহন করছি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমি এর প্রতিশোধ নিতে পারতাম কিন্তু আমি তা করিনি বরং সকল দলের সহবস্থান নিশ্চিতে কাজ করে গিয়েছি আর যার ফসল আজকে আমরা সকল দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ করতে পারছি। আমরা ঐক্যের বাংলাদেশ চায়।

শেখ হাসিনার আদর্শ হলো ঐক্যের বাংলাদেশ। সামনের জাতীয় নির্বাচন একটু একটু করে ঘনিয়ে আসছে আর রাজনীতি ও উত্তপ্ত হচ্ছে কিন্তু আজকে আমরা যে উদ্দেশ্যে এ সমাবেশে মিলিত হয়েছি সে উদ্দেশ্য আমাদের সফল করতে হবে। সারাদেশে যে ঘটনা ঘটুক আমরা পুঠিয়ায় এই সৈয়দপুরে সকল দলের সহবস্থান নিশ্চিত করবো এবং সকল প্রকার সংঘর্ষ বন্ধ করার অঙ্গিকার করছি। অসুন এমন এক সুন্দর বাংলাদেশে গড়ি যেখানে সকল দলের সহবস্থান নিশ্চিত হয়।

দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সমন্বয়ক নাজমুল হুদা মিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেনে ভারত রাজনৈতিক ইউনিয়ন আর বাংলাদেশ হলো সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন। তিনি এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির নেতা ছিলেন যেখানে বিরোধিদের সম্মান করা হতো। জনগণ ছাড়া নেতা থাকতে পারে না। তাই সেই নেতা বাছাই করতে হবে যে নেতা শান্তির কথা বলে, আর সংঘর্ষ এড়িয়ে চলে।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান বলেন, আপনারা দলমত নির্বশেষে আমায় নেত্রী বানিয়েছেন, আসুন আমরা দ্বন্ধ ভুলে শান্তির পুঠিয়া গড়ি।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন বলেন, শান্তি সম্প্রীতি যদি সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে তার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গিকার । হাঙ্গার প্রজেক্ট এর এ মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই তারা সত্যিকার অর্থে একটা পথ তৈরি করছে যেখানে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারবো। এ সমাবেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এনামুল হক বলেন, আপনি নেতা অন্য নেতাকে সম্মান করুন তাহলে আপনিও সম্মান পাবেন আর এটাই হলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি। আপনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আপনার শত্রু নয় বরং সে আপনার সময়কালের রাজনৈতিক সহযাত্রী।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বলেন, এখানে গত ঈদে সামান্য বিষয় নিয়ে আওয়ামীলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সে সংঘর্ষে আমাকে বিভিন্ অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। আর তাতে আমাকে বাচাতে অনেকে আহত হয়। এ ঘটনা যাতে আর কখনও এখানে না ঘটে সে কারণে আজ এ সম্প্রীতির সমাবেশ।

এ সম্প্রীতির সমাবেশ থেকে আমরা অঙ্গিকার করতে চাই আমাদের সৈয়দপুরে এখন থেকে দলমত নির্বিশেষে শান্তি বজায় রেখে সহবস্থান নিশ্চিত করা হবে।