পিএসজির সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিতে যেসব বিষয় মেসিকে সহায়তা করেছে

পাঁচ দিনের মধ্যে ফুটবল বিশ্ব অনেক বড় এক পরিবর্তন দেখে ফেলল। বার্সেলোনার এতদিনের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন লিওনেল মেসি পাকাপাকিভাবে হয়ে গেলেন পিএসজির। প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেললেন আর্জেন্টাইন এ তারকা। যেখানে সৃষ্টি হতে চলেছে, ফুটবল বিশ্বের ভয়ঙ্করতম ফরোয়ার্ড লাইন ‘এমএনএম’।

লিওনেল মেসি ফ্রান্সের রাজধানীতে তাঁর প্রাথমিক সংবাদ সম্মেলনে পিএসজিতে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছেন। কিন্তু নাসের-আল-খেলাইফির প্রস্তাবকে হ্যাঁ বলতে কী কী কারণ তাকে সাহায্য করেছে? মার্কার এক প্রতিবেদনে এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।

স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা বলছে, পিএসজির প্রস্তাবকে হ্যাঁ বলতে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি কাজ করেছে সেটি হলো বার্সেলোনায় পাওয়া কষ্টকে তিনি দ্রুত মুছে ফেলতে পেরেছিলেন। মেসি বলেন, প্রথম দিনগুলো ছিল কঠিন, তারপর শুরু করার আকাঙ্ক্ষায় আমি নার্ভাস ছিলাম। একপর্যায়ে আমরা একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছলাম। পরে সবকিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে।

গন্তব্য হিসেবে প্যারিস নিয়ে তার পরিবার দারুণ খুশি ছিল। সে কারণে মেসি দ্রুতই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে মনে করে মার্ক। সংবাদ সম্মলনে মেসি এই বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেন। মেসিকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে এমন আরো একটি কারণ হলো ড্রেসিংরুমে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের উপস্থিতি।

পিএসজিতে মেসির বন্ধুও আছে। মেসি মনে শান্তি নিয়ে প্যারিসে পৌঁছেছেন। কারণ তার নতুন পরিবেশে এরই মধ্যে বন্ধুও আছে। ডি মারিয়া, নেইমার রয়েছে এই ক্লাবে। এটিও মেসিকে পিএসজিকে হ্যাঁ বলে দিতে সহায়তা করেছে। সেখানে আসার আগে তিনি ডি মারিয়া ও নেইমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

পিএসজির সঙ্গে মেসির দ্রুতই চুক্তি করা পেছনে আরো একটি বিষয় কাজ করেছে। আর সেটি হলো প্যারিসের মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা। প্যারিসে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির রাস্তায় হাজার মানুষ ভিড় জমায়। মেসিকে নিয়ে স্লোগানও দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেন, প্যারিসে আসার পর থেকে আমি যা কিছু দেখছি- তা অবিশ্বাস্য। এমন ভালোবাসা বিস্ময়কর। বার্সেলোনার বাইরে এটি আমার প্রথম ক্লাবের অভিজ্ঞতা। কঠিন সময় পাড় করার পর আমি আবারও খুশি।

ছোটবেলার ক্লাব বার্সেলোনাকে চোখের জলে বিদায় জানিয়ে এখন নতুন ক্লাবে মেসি। শারীরিক পরীক্ষা হয়ে গেছে তাঁর। সই হয়ে গেছে চুক্তিপত্রও। ৩০ নম্বর জার্সি পরে মেসিকে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সমর্থকরাও। এদিকে, ১৪ অগস্ট রেসিং ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা রয়েছে পিএসজির। তাহলে কি সেই ম্যাচেই মাঠে নামছেন মেসি? সময়ই বলে দিবে উত্তর।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ