পাবনায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে মৃত্যুশয্যায় গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাবনায় শ্বশুর বাড়ির নির্যাতনে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন এক গৃহবধূ। স্বামী-শ্বাশুড়ির নির্যাতনের পর ওই গৃহবধূকে প্রথমে পাবনা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে জায়গা সঙ্কুলানা না হওয়ায় নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এখন তার চিকিৎসা চলছে।

গৃহবধূর গলায় রশি দিয়ে ঝুলানো বা কাপড় পেঁচানোর মতো মোটা দাগ রয়েছে। এছাড়া তার মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে।

নির্যাতিত গৃহবধূ হলেন, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার রাজাইমন্ডল এলাকার পিন্টু মিয়ার স্ত্রী মীম (২৫)। সোমবার দিবাগত ভোররাতে তাকে এভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ গৃহবধূর মামাতো ভাই শোভনের।

গৃহবধূর মামাতো ভাই শোভন বলেন, ১৩/১৪ বছর আগে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়। তারপর থেকেই যৌতুকের জন্য তার বোনকে প্রায়ই মারধর করতেন তার দুলাভাই পিন্টু মিয়া। এছাড়া সাংসারিক কাজকর্মে সামান্য ভুল হলেও তাকে মারধর করতেন তিনি। ক’দিন আগেও তার বোনকে মারধর করেন তার স্বামী পিন্টু মিয়া। সে কারণে তারা তাদের বোনকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। পরে পিন্টু মিয়া মাফ চেয়ে স্ত্রীকে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। পরে সোমবার ভোররাতে শ্বাশুড়িসহ কয়েক জনের সহযোগিতায় গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করেন স্বামী পিন্টু মিয়া-অভিযোগ গৃহবধূর মামাতো ভাই শোভনের। এতে তার মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে এবং গলায় ওড়না পেঁচানো মোটা দাগ রয়েছে। এছাড়া সারা শরীরে মারধরের দাগ রয়েছে।

শোভন গৃহবধূর পাঁচ বছর বয়সী ছেলের বরাত দিয়ে বলেন, মারধরের পর তার মাকে তারা গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি খুব স্বাস্থ্যবান হওয়ায় তারা ঝুলাতে পারেননি। এরই মধ্যে সকাল হয়ে যায়। শোভন বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন হয়তো তার বোনকে ঘুমের ওষুধ মিশানোর পর মারধর করেছে।

পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পায় গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন। গৃহবধূকে প্রথমে পাবনা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে জায়গা সঙ্কুলানা না হওয়ায় নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এখন তার চিকিৎসা চলছে।

শোভন জানান, তারা এখন তার চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত আছেন। বাড়ি ফিরে আগামীকাল বুধবার পাবনায় গিয়ে তারা এ বিষয়ে মামলা করবেন।

স/শা