সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পাবনা বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ কর্মী ও সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মাসুদ রানা লিখিত আবেদন ছাড়াই তার ব্যক্তিগত গোডাউনে সরকারি ৪৯৭ বস্তা চাল মজুদ রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সন্ধ্যায় এমন অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব হাসান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শিরিন আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের সাবেক কাদের মেম্বারের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ রানা সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন ডিলার। উপজেলা কর্তৃক নির্ধারিত স্থান হিসেবে সরকারি চাল রাখার কথা চাকলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুশিয়ারা বাজারের ছোলাইমানের ঘরে। কিন্তু নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে তিনি বাগজান ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোতালেব চৌকিদারের বাড়ি সংলগ্ন তার ব্যক্তিগত গুদামে ৪৯৭ বস্তা চাল মজুদ করেন। এ বিষয়ে লিখিত কোন আবেদন না করেই নিজের ইচ্ছেমত অন্য স্থানে চাল মজুদ করেন রানা। এ সংক্রান্ত গোপন সংবাদে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব হাসান, খাদ্য কর্মকর্তা শিরীন আক্তার সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পান। এই চাল দরিদ্র মানুষের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, মাসুদ এলাকায় প্রভাব খাঁটিয়ে সুদের রমরমা ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন। তার সুদের টাকা না দিতে পেরে এলাকা ছেড়েছেন অসহায় অনেকেই। এমনকি যে ঘরে সরকারি চাল মজুদ করেছেন সেটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে মাসুদ রানা বলেন, স্থান পরির্বতনের জন্য উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর বরাবর দরখাস্ত করেছি। বিষয়টি অফিসের অবহেলায় এখনও অনুমোদন পাইনি।
বেড়ার ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন,ডিলার মাসুদের ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এসিল্যান্ড সেখানে পরিদর্শন করেছেন এবং এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। যেখানে তার অনুমোদিত সরকারি চাল রাখার শর্ত ভঙ্গ করে অন্য জায়গায় চাল রাখার দায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নীতিমালা অনুযায়ী সে যদি শর্ত ভঙ্গ করে সে বিষয়ে আমরা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেব। স্থান পরিবর্তনের জন্য মাসুদ কোনো লিখিত আবেদন করেননি বলেও তিনি জানান।