পাবনায় আ’লীগের দু‘পক্ষের সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাসহ নিহত ২ , লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ জন নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতদের স্বজনরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ বাজার এলাকার কয়েকশ’ নারী ও পুরুষ এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।

এদিকে,  গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধা লস্কর খাঁ মালেক ও শেখ নামের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নিহতদের স্বজন এবং এলাকার কয়েকশ’ নারী পুরুষ লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে পাবনা শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে পাবনা অচল করে দেয়া হবে। এ সময় সুলতান গ্রুপের নেতা ও নিহত লস্কর খাঁর ছেলে সুলতানসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।

নিহত মুক্তিযোদ্ধা লস্কর খাঁর ছেলে সুলতান খাঁ জানান, আমি ভাড়ারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে ভাড়ারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য কয়েকবার হামলা করে। সে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও বালুর মহল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছে। এই হত্যাকান্ড তারই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একটি অংশ। আমি আমার পিতার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

পাবনায় জোড়া হত্যা: লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

এদিকে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এ সব কর্মকান্ড করছে।

ভাঁড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ ও সুলতান খাঁ গ্রুপের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পর থেকেএলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত আরো কয়েকজন পুলিশী ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এই সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারা হামলার সাথে জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।

স/অ