সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
ওইদিন সংশ্লিষ্ট পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ৮ নভেম্বর তার অবস্থান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, স্থায়ী ঠিকানায় খোঁজ করে পাবনা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তার (হাবিব) বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে। তাকে পাওয়া যায়নি। আর ঢাকার শেরে বাংলানগর থানা জানিয়েছে, তার বাসায় একাধিকবার পুলিশ গিয়েছে, তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশকে তার স্ত্রী জানিয়েছেন- হাবিবুর রহমান হাবিব কোথায় আছেন তিনি তা জানেন না। অর্থাৎ তিনি এখন পলাতক অবস্থায় আছেন। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানিয়েছি।
এ প্রতিবেদন দাখিলের পর হাবিবুর রহমান হাবিবকে ট্রেস আউট করে অবিলম্বে হাজিরের জন্য পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৭ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন বলে জানান এ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিচারিক আদালতে জজ থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
গত ১৫ অক্টোবর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্যের লিংক ইউটিউবে প্রচারিত হতে থাকলে সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিষয়টি হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় উত্থাপিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন ৬ নভেম্বর।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে একটি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। সে বক্তব্য এতই অশালীন, যা স্বাভাবিকভাবে কোনো শিক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না।