নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এবং ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনায় শুক্রবার (২৩ জুন) বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে পবিত্র জুম্মাতুল বিদা পালিত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুম্মাতুল বিদা হিসেবে ধর্মীয় অনুভূতির মধ্যে দিয়ে প্রতিবছর পালন করেন মুসলিম জাতি।
পবিত্র রমজানজুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে আজ নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানের শেষ জুম্মায় শামিল হন। জুম্মার আজানের পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় শাহ্ মখদুম (রহ:) দরগা মসজিদ, সাহেব বাজার বড় মসজিদ ও হেতম খাঁ মসজিদসহ সকল মসজিদে নামাজে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
জুম্মাতুলবিদাকে কেন্দ্র করে আজ নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। ঠাঁই না হওয়ায় অনেককেই বাইরেই নামাজ আদায় করতে হয়।
জুম্মাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয় ‘আলবিদা, আল বিদা, ইয়া শাহর রামাদান। অর্থাত বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান। জুম্মার দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া করা হয় বছরের বাকী দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
নামাজ আদায়ের পর মহানগরের গৌরহাঙ্গা, টিকাপাড়া, কাদিরগঞ্জ, হেতম খাঁসহ বিভিন্ন কবরস্থানে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একই সঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুম্মাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুম্মার দিন পালিত হয় আল কুদ্স দিবস। তাই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
স/আর
