অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার বাদী র্যাবের ডিএডি শফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন। এছাড়া মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী র্যাবের ডিএডি সাইফুল ইসলামকে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। আগামীকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যদের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে পাপিয়া দম্পতিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গতকাল সোমবার (৩১ আগস্ট) জব্দ তালিকার সাক্ষী র্যাবের ডিএডি সাইফুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।
গত ২৫ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট, ১ ও ২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ১৮ আগস্ট শুনানির জন্য আদালত এ দিন ধার্য করেন। গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনে করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। সেখানে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় তাদের দুজনকে পাঁচ দিন করে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১০ মার্চ একই মামলায় ফের দুজনকে পাঁচ দিন করে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আগের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে পাপিয়া দম্পতির দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।
তারও আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ