পাপনের উল্টো সুর!

মিরপুর শের-ই-বাংলায় শনিবার দুপুরের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শেষ হলো দুই মাসব্যাপী চলমান ‘সাকিব আল হাসানের নাটক’। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ উভয়েই গণমাধ্যমকে জানান, সাকিব রবিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠতে যাচ্ছেন। তবে নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্য বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। আজ তিনি যা দাবি করেছেন, গত পাঁচ দিনে আগে তার বক্তব্যের সঙ্গে সেটার কোনো মিল নেই!

গত ৬ মার্চ বিজ্ঞাপনের কাজে দুবাই যাওয়ার আগে সাকিব বলে যান, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন না এবং টেস্ট খেলতেও খুব বেশি আগ্রহী নন।

কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার আসলে হয়নি এখনো। ওই লেটার, ফরমটা পাইনি যেখানে জানাব যে আমি অ্যাভেইলেবল ফর টেস্ট, ওডিআই বা অন্য কিছু। ‘ তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘যদি সবার কাছে অপশনটা দিয়ে দেওয়া যায়, সবার মতামত নেওয়া হয় কিংবা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আমার জন্য মনে হয় এটা সবার জন্য ভালো।

সাকিব চলে যাওয়ার পরদিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘কে কোন ফরম্যাটে খেলবে―সেই কাগজ সাকিবকে দেওয়া হয়েছে তিন-চার মাস আগেই!’ তার ভাষায়, ‘আরো তিন-চার মাস আগেই ওদেরকে ফরম দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট অপারেশনস থেকে আমাকে সেসব পাঠানোও হয়েছে। ওখানে সাকিবের ফরমও আছে। যেখানে সে সব সংস্করণে খেলার সম্মতি দিয়ে রেখেছে। এখন খেলব বলে দুই দিন পর পর এসব করছে, কী করব বলেন? খেলুক না খেলুক, টাকা তো পাচ্ছে, কী করব?’

এরপর গত ১০ মার্চ ঘোষিত চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় তিন ফরম্যাটেই দেখা যায় সাকিবের নাম! সেদিন  ‘কে সত্য বলছেন? সাকিব নাকি পাপন?’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।  অথচ আজ দুপুরেই বদলে গেল পাপনের বক্তব্য! তিনি কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে বলেন, ‘আগে যে চুক্তি আমরা নিয়েছিলাম সেটা গত বছরই শেষ হয়ে গেছে। এই বছরের চুক্তিতে আমরা কারো কাছ থেকে এখেনো লিখিত নিইনি। সাকিবের সঙ্গে তিন ফরম্যাটের পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাকিব তার একটা সিদ্ধান্ত আমাদের জানিয়েছে। ওর সিদ্ধান্ত কী সেটা ওর মুখ থেকেই আপনারা শুনুন। ‘

এরপর সাকিব আল হাসান জানান, তিনি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই খেলতে প্রস্তুত আছেন। বিসিবিই সিদ্ধান্ত নেবে, কখন তাকে কোন ফরম্যাট থেকে ছুটি বা বিশ্রাম দেওয়া হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ