ট্রাক চালক জসিম বলেন, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটের একাধিক পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি ডিঙিয়ে ফেরিতে উঠলে ড্রামে পানি গেলে ইঞ্জিনে সমস্যা হয়।
যশোরগামী ট্রাক চালক সোনা মিয়া বলেন, পন্টুনে পানি থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, সকাল থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন বাড়তি থাকায় ৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারা পার করা হচ্ছে। আমাদের ১৬ টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে পদ্মায় গেল ২৪ ঘণ্টায় ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র স্রোত ও ঢেউ থাকায় ফেরিতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০- ২৫ মিনিট বেশি সময় লাগছে।
এদিকে মাগুরা থেকে নবীনগরগামী যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, আগে ঈদের আগে ও পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য বসে থাকতে হতো। কিন্তু এখন ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে উঠতে পারলেও তীব্র স্রোতের কারণে বেশি সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন পাঠান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পাটুরিয়ায় ৪ ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ঘাট এলাকায় ৫০ মিটার নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ করছি। পাটুরিয়ার ৪টি ঘাটের ৩ টিই পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে বিকেল থেকে এসব ঘাট উঁচু করে যানবাহন পারাপারের উপযোগী করার কাজ শুরু হবে। পানি ও ভাঙন বৃদ্ধি পেলেও আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, এই নৌরুটে মোট ১৬ টি ফেরি থাকলেও যানবাহনের চাপ অনুযায়ী ফেরিগুলো দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) তানিয়া সুলতানা বলেন, ফেরি ঘাটে বিলম্ব হলেও সড়কে কোনো যানজট নেই। সূত্র: দেশ রুপান্তর