পাকিস্তানে বিক্ষোভ, ইমরান খান সরকারের পতন চান তারা

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। সরকারবিরোধী হাজারো নেতা-কর্মী-সমর্থক এই বিক্ষোভে অংশ নেন। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলগুলোর এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় করাচিতেও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইমরান খান ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই সবচেয়ে বড় কোন সমাবেশ যেখানে তার পদত্যাগের দাবি করা হয় এবং তার সরকার নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়।

ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উৎখাতের লক্ষ্যে দেশটির বিরোধী দলগুলোর জোট পাকিস্তানজুড়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি শুরু করে। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) ব্যানারে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ চলছে। দেশটির ১১টি বড় দল মিলে গত মাসে এই জোট গঠন করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), জমিয়তে ওলামা ইসলাম-ফজল দলও (জেইউআই-এফ) রয়েছে এই জোটে। পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরীফ, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং জেইউআই-এফ প্রধান ফজল-উর-রেহমানসহ প্রধান বিরোধী দলের প্রতিটি নেতৃবৃন্দ জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে শরীফ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি বক্তব্য দেন। দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পর তিনি চিকিৎসার জন্য জামিনে চলে যান যুক্তরাজ্য। সেখান থেকেই তিনি ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখন। পাকিস্তানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে অভিযুক্ত করেন শরীফ। তার সকরারকে পতন করানোর জন্য তাকেই দায়ী করেন তিনি।

দেশটির আরেক বিরোধী নেতা বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, আমরা দুর্নীতির অবসান ঘটাতে চাই। তার জন্য প্রতিটি পাকিস্তানির জন্য এক আইন থাকা দরকার। দুর্নীতির অবসান ঘটাতে, আমাদের জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন। যদি কোনো অভিযোগ থাকে তবে অবশ্যই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। তবে যদি কোনো জেনারেল বা বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তবে তাদেরও বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ