পাকিস্তানে কামিন্সদের জন্য ৪ হাজার সেনা, হেলিকপ্টার, স্নাইপার

টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ সফরে দীর্ঘ ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল। আজ রবিবার ইসলামাবাদ বিমানবন্দর থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ক্রিকেটারদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ছয় সপ্তাহের সফরের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান সরকার।

২০০৯ সালে সফররত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের মাটিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

গত বছর পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আতঙ্কে প্রথম ম্যাচ খেলার আগেই তড়িঘড়ি দেশে ফিরে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ইংল্যান্ডও সফর বাতিল করে। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান।

পাঁচ বছর আগে লাহোরের চার্চে বিস্ফোরণের ঘটনায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সফর শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছিল। এই দফায় আগামী ৪ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘অতিথি ক্রিকেটারদের জন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সমমানের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ রকম ব্যবস্থা কেবল করা হয় উচ্চ পর্যায়ের বিদেশি প্রতিনিধিদলের জন্য। দেশের মধ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীই শুধু এমন নিরাপত্তা পান। ‘

ইসলামাবাদে অস্ট্রেলিয়ার টিম হোটেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে চার হাজার পুলিশ কর্মী ও সেনা সদস্য। কামিন্সরা যখন বাসে করে অনুশীলনে বা ম্যাচ খেলতে যাবেন, সে সময় সংশ্লিষ্ট রাস্তার ১৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। পুরো পথে নজরদারি চালাবে সেনা হেলিকপ্টার। রাওয়ালপিণ্ডির স্টেডিয়ামকেও পরিণত করা হয়েছে দুর্গে। স্টেডিয়ামের কাছাকাছি বহুতল ভবনে থাকবে স্নাইপার। খেলার দিন স্টেডিয়ামের কাছাকাছি সমস্ত দোকান এবং অফিস বন্ধ রাখতে হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ