পাঁচ পেশার মানুষকে ধন্যবাদ দিলেন মাশরাফি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। একইসঙ্গে অন্যান্য যারা লড়ে যাচ্ছেন এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে, তাদের সমর্থন ও উৎসাহ যোগাতেও ভুল করছেন না নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত এ পেসার।

সারাদেশে যখন চলছে সাধারণ ছুটি, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রায় সবকিছু- তখন ঠিকই মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন কিছু মানুষ। তাদের আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা মাথায় রেখেছেন মাশরাফি, পাঁচটি ভিন্ন শ্রেণি তথা পেশার মানুষকে দিয়েছেন বড়সড় ধন্যবাদ।

যেহেতু করোনা পরিস্থিতিটি পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিষয়ক, তাই এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় লড়াইটা করতে হচ্ছে ডাক্তার-নার্সদের। ক্ষেত্রবিশেষে নিজেদের যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। তাদের হাতেই রয়েছে পুরো জাতির স্বাস্থ্য নিরাপত্তা।

এছাড়া নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে অন্যতম পুলিশদেরও ছুটি নেই এই অবস্থায়। সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এই অবস্থার মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নিশ্চিত করছেন একে অপরের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব এবং নিরুৎসাহিত করছেন জনসমাগম।

এর বাইরে স্বেচ্ছাসেবী এবং সংবাদকর্মীরাও এখন কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন স্বেচ্ছাসেবীরা এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে রেখেই সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাইরে বের হতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের।

এই সব পেশার মানুষদের আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি। আর তাই তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী এবং সংবাদকর্মীদের আমাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য বড়সড় ধন্যবাদ।’

Untitled-1.jpg

এদিকে ধন্যবাদ পাওয়ার মতো কাজ করেছেন মাশরাফি নিজেও। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও, তিনি শরীক হয়েছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অনুদানের কাজে। নিজের এক মাসের বেতনের অর্ধেক অর্থাৎ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দান করে দিয়েছেন করোনা ইস্যুতে ব্যবহার করতে।

খেলোয়াড় পরিচয়ের বাইরেও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে মাশরাফির নতুন পরিচয়, তিনি একজন সংসদ সদস্য। এ দায়িত্বেও পিছিয়ে নেই নড়াইল-২ আসনের এ প্রতিনিধি। নিজের তহবিল থেকে অন্তত ১২শ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছেন তিনি এবং চিকিৎসক-নার্সদের জন্য দিয়েছেন ৫শ পিপিই।