পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত দাবি করে পহেলা বৈশাখ এটা বন্ধে সরকারের মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৯ এপ্রিল) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

লিগ্যাল নোটিশে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান নিজেই  বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অবিলম্বে এই অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

নোটিশে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে এক ধরনের কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত, এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে এক ধরনের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে এই আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নামকরণ করা হয়।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক এর সরাসরি লঙ্ঘন।

এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে, যা দণ্ডবিধির ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি সংস্কৃতির কোনো অংশ নয়। এটা সম্পূর্ণ কৃত্রিম উদ্ভাবন। মূলত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই কৃত্রিম কার্যকলাপের উদ্ভাবন করা হয়েছে।

আইনি নোটিশ পাওয়ার পর অবিলম্বে এই অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।