পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে

নরওয়ের রাজধানী অসলোর বাইরে পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে তালেবান বৈঠকে বসেছে। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় আফগানিস্তানের মানবিক সংকট।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার পশ্চিমা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তালেবান সদস্যদের আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোয় থাকা আফগানিস্তানের কোটি কোটি ডলার অর্থে প্রবেশাধিকারের অনুরোধ জানাতে পারে তালেবান।

অসলো শহরের ঠিক বাইরে পাহারের চূড়ায় সোরিয়া মোরিয়া হোটেলে তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুক্তাকীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন।

এর আগে রোববার তালেবান প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের নারী অধিকারকর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গের সঙ্গে বৈঠকে বসে। নারী অধিকারকর্মী জামিলা আফগানি এএফপিকে বলেছেন, এটা ছিল ফলপ্রসূ বৈঠক।

এই নারী অধিকারকর্মী বলেন, তালেবান সদিচ্ছা দেখিয়েছে। এখন দেখা যাক, কথার মতো তারা কাজেও এক থাকে কিনা।

আফগানিস্তানে বেকারত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বেড়েছে খাদ্যের দাম। দেশটির মুদ্রার মান হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাংকগুলো নগদ উত্তোলনের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, আফগানিস্তানের জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ ক্ষুধার হুমকির মুখে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদানের সুবিধার্থে দেশটির রাজধানী কাবুলে ‘ন্যূনতম উপস্থিতি’ পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরুর ঘোষণা দেয়।

গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতন হয়। কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দ্বিতীয়বারের মতো তালেবানের হাতে যায়। পরের মাসে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় তালেবান।

তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য স্থগিত করে। দেশটির বিদেশে থাকা সম্পদে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়। এ কারণে আফগানিস্তানের মানবিক পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর