পরিচারিকা থেকে হার্টথ্রব নায়িকা, যার মৃত্যু নিয়ে রহস্য আজও!

মাত্র ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে মোট ৪৫০টি ছবি করে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিলেন ভারতের এই দক্ষিণী নায়িকা। আসল নাম বিজয়লক্ষ্মী। কিন্তু সকলের কাছে পরিচিত সিল্ক স্মিতা নামে। ১৯৬০ সালের আজকের এই দিনে জন্মেছিলেন দক্ষিণ ভারতের এক প্রত্যন্ত গ্রামে।

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিজয়লক্ষ্মী জীবনযুদ্ধ শুরু করেছিলেন পরিচারিকার কাজ দিয়ে। কাজ করতেন এক অভিনেত্রীর বাড়িতে। সেই অভিনেত্রীর মেক-আপেও সহায়তা করতেন তিনি।

একদিন এক প্রযোজক যখন নিজের বড় গাড়ি নিয়ে অভিনেত্রীর বাড়িতে আসেন, সিল্ক আকৃষ্ট হয় সেই গাড়ির প্রতি। এ-নিয়ে অভিনেত্রীর উপহাস এবং তার উত্তরে নিজের গাড়ি কেনার প্রতিশ্রুতি, এই ছিল সম্ভবত তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

 

এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি সিল্ক স্মিতাকে।৭০-এর দশকের শেষের দিক থেকে ৯০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত সিল্ক হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের হার্টথ্রব। তার একটি মাত্র আইটেম ডান্স যে কোনও ছবিকে বিশাল সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

সিলভার স্ক্রিনে তার গ্ল্যামারাস উপস্থিতি দর্শকদের কাছে অসম্ভব আকর্ষণীয় হয়ে উঠছিল।যদিও নিজের এই ‘হট’ ইমেজ থেকে বেরোতে চাইতেন সিল্ক নিজে। তবে এই অভিনেত্রীর মৃত্যু ছিল রহস্যে ঘেরা। ১৯৯৬-এর ২৩ সেপ্টেম্বর, সিল্কের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল তার চেন্নাই-এর বাড়ি থেকে। পুলিশ সুইসাইড কেস বলে জানালেও, এখনো অনেক জল্পনা শোনা যায় এই মৃত্যু ঘিরে।

২০১১ সালে সিল্কের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘ডার্টি পিকচার’, যেখানে বিদ্যা বালান অভিনয় করেন তার চরিত্রে। বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দিয়েছিল এই ছবি। ২৫ কোটি রুপির এই ছবি বক্স অফিসে এনে দিয়েছিল ৮৩ কোটি।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন