পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বদন্যতাই মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন রাশেল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের দিনমজুর বাবার সন্তান রায়হানুল বারী রাসেল । তিনি এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেলেও ভর্তির ফি যোগাতে পারছে না। তাই এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন অদম্য মেধাবী রাসেল ও তার পরিবার।
সদ্য এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সারা দেশের মেধা তালিকায় ৫১৪ তম স্থান দখল করে রাসেল। সে অনুযায়ী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ জুটে তার। কিন্তু ভর্তি যুদ্ধে এই অদম্য মেধাবী উর্ত্তীণ হলেও দারিদ্রতার অমোঘ মেঘে ঢাকা পড়েছে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন।

 

এই ধরনের একটি খবর দেখে রাশেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট আসনের এমপি শাহরিয়ার আলম।

 

জানা যায়, উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের সাফিউল ইসলাম (৪২) দিন মজুরী করেই সংসারের ঘানি টানছেন। তার স্ত্রী রাফিয়া বেগম গৃহিণী। বাড়ি ভিটে ১২ শতক জমিতে টিনসেট ঘরকরে বাস করেন। চার ছেলে মেয়ে সহ ৬ সদস্যের সংসার। ছোট ছেলে সাগর পড়ছে ৮ম শ্রেণীতে আর সাকিবুল তৃতীয় শ্রেণীতে। একমাত্র ছোট মেয়ে মিম পড়ে শিশু শ্রেণীতে।
দিনমজুরীর টাকায় পড়াশোনার খরচের পাশাপাশি ঠিকমতো খাবার জুটেনা তাদের। প্রায় সময় না খেয়ে পড়াশোনা করতে হয়। তবে বর্তমানে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে হতদরিদ্র হিসেবে ১০ টাকার চাল পেয়ে কোন রকমে খাবার জুটছে তাদের। তার ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে যে টাকার প্রয়োজন তা কোথা থেকে আসবে সেই দুশ্চিন্তা তাড়া করছে হতদরিদ্র ওই পরিবারকে।

 

গত বছর গুলোতে সে প্রাথমিক পিএসসি তে জিপিএ ৫, জেএসসি জিপিএ৫, এসএসসি গোন্ডেন জিপিএ ৫, এইচএসসি তে জিপিএ ৫ ।
রাসেলের পিতা সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা নিয়ে ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। তাই দাদন ব্যবসায়ীর ওই টাকা এখন পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারিনি। এখন ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তির ফি-সহ প্রয়োজনীয় অর্থ দিয়ে কেউ সাহায্যের করলে আমার ছেলে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হবে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোয়াজেম হোসেন জানান, সে ছোট থেকেই মেধাবী ও গরীব। এই মেধাবী ছাত্রকে কেউ সাহায্য করলে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরন হবে। আমি তার মঙ্গল কামনা করি।

 

এদিকে এই ধরনের খবর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নজরে এলে তিনি নিজে নিউজটি শেয়ার করে ছেলেটির সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর জানতে চান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেন ‘এই শিক্ষার্থীকে কেউ খুঁজে দিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো। তার সাথে যোগাযোগের নাম্বারটা দিলেই হবে।’

 

পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহ করে শাহরিয়ার আলম নিজে তার সঙ্গে কথা বলে মেডিকেল ভর্তির সব ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

স/আর