পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের বাড়ির নিরপাত্তর্মীসহ ৪ কর্মচারী করোনা পজিটিভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য (বাঘা-চারঘাট) শাহরিয়ার আলমের ঢাকাস্থ বাড়ির নিরপাত্তর্মীসহ ৪ কর্মচারী করোনা পজিটিভ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার নিজেই এ নিয়ে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তাতে তিনি বাড়ির নিরপত্তার্মীসহ চারজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
তার সেই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সিল্কসিটিনিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
২০০০ সালে ডেংগু হয়েছিলো আমার, রোজার মাসে। তখন ডেংগু মানে অবধারিত মৃত্যু। সেই সাথে হলো পক্স।
এমন অবস্থা মনে হলো হাতে আর দুই একদিন সময় আছে! টানা একমাস অসুস্থতার পর সুস্থ হয়ে ওঠার একদিন আগে একজন ডাক্তার বাসায় এসে বললেন ডেংগু হয়নি। কে যানে কি হয়েছিলো!
আরেকবার ডেংগু হয়েছিলো কয়েক বছর আগে, সম্ভবত ২০১৪ সালে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো, রক্ত দিলো। আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে সুস্থ হলাম।
এর মাঝে ছোট, বড়, মাঝারি আরও অসুখ বিসুখ হয়েছে। প্রতিবার আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়েছি। করোনাকালে যতটা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করেছি। যদিও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে মাদ্রিদ আর জেনেভা যেতে হয়েছিলো। বিশ্ব তখনও এর ভয়াবহতা বুঝে উঠেনি।
অনেকদিন থেকেই শুনছি পরিচিত মানুষের পরিক্ষা করাচ্ছেন। কেউ কেউ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক পরিচিত ব্যক্তি।
তাই আমার বাসার সহকারী মিঠু যখন বললো বাবুর্চি মুসা আর চারজন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে একজনের জ্বর তখন দেরি না করে পরিক্ষা করালাম, নিজের সহ মোট ৯ জনের।
ফলাফল এসেছে, মুসা এবং সেই নিরাপত্তাকর্মী সহ মোট ৪ জন পজেটিভ। মানে বাকি দুইজন পজেটিভ হয়েও কোন লক্ষ্মণ নেই।
আমরা বাকীরা নেগেটিভ।
গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। বাড়িতে রুগী রেখেই চিকিৎসা করাতে হবে এবং নিজেদের সুস্থ রাখতে হবে।
কাজটা মোটেই সহজ হবে বলে মনে হচ্ছেনা।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ বলেন, আমাদের সবার জন্য দোয়া করার জন্য। অসুস্থরা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং নতুন কেউ যেন সংক্রমিত না হন। ৩-৪ দিন পরে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করানো হবে।
গত দুইমাস যেভাবে কাজ করেছি অবশ্যই চেষ্টা করবো সেভাবে বাসায় থেকে কাজ করতে। অজস্র মানুষের বিভিন্ন অনুরোধ আসে আমার কাছে প্রতিদিন, এইসময় মুলত সেটা প্রবাসীদের কাছ থেকে আর অন্যদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশেদের নাগরিকদের কাছ থেকে। এলাকার দেখভালতো আছেই।
এখন আর কথা না বাড়াই।
সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। ভালো থাকুন সবাই। (একটা ছোট্ট অনুরোধ, আমার বাসার কাউকে দয়াকরে শুধু খোঁজ নেবার জন্য ফোন দিবেন না। তারা সবাই মানসিকভাবে কিছুটা হলেও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে খাপখাইয়ে নেবার জন্য ব্যস্ত আছেন। আপনার কোন বার্তা থাকলে তা নিচে লিখে দিতে পারেন অথবা যেকোন মাধ্যমে সরাসরি আমার কাছে)। আল্লাহতালা রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলের প্রতি সদয় হউন।
স/আর