মঙ্গলবার , ২১ নভেম্বর ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পবায় খরা সহনশীল ও পানি সাশ্রয়ী রবিশস্যের বীজবিনিময় অনুষ্ঠিত

Paris
নভেম্বর ২১, ২০১৭ ১:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পানি সংকটসহ খরা প্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চল উপযোগী শস্য ফসলের চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি রবি মৌসুমে রবিশস্যের বীজবিনিময় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বরেন্দ্র অঞ্চলের জনসংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার রাজশাহীর পবা ও তানোর উপজেলায় নিয়মিতভাবে বীজবিনিময় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবা উপজেলার বিলনেপাল পাড়ায় উক্ত বীজনিমিয় ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি রবি মৌসুমে কম পানি নির্ভর এবং খরাসহনশীল ১৩ ধরনের বীজবিনমিয় হয়। জাতগুলোর মধ্যে তিসি, তিল, মটর, যব, জাউন, বাকলা কালই, গুজিতিল, খেসারি, মশূর, কুশুম ফুল, সরিষা, কালিজিরা, জিরা মসলা। উক্ত বীজবিনিময় ক্যাম্পে বারসিক  ৫০ জন কৃষককে তাঁদের চাহিদানুযায়ী  বিনামূল্যে বীজ প্রদান করে। এ ছাড়াও তানোর এবং পবা উপজেলার জনসংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ৩৫০ জন কৃষক কৃষাণী বিনামূল্যে শাকসবজীর বীজবিনিময় করেন।

বীজবিনিময় ক্যাম্পে উপসিস্থত ছিলেন পবা উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তৈয়ব আলী, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, সহযোগী কৃষি কর্মকর্তা অমৃত কুমার সরকার, বিলনেপাল পাড়া চাষী ক্লাবের সাংগঠকি সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ এলাকার কৃষক কৃষাণী গণ।

বীজবিনিময় ক্যাম্পে উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তৈয়ব আলী বীজ বপন এর নিয়ম কানুনসহ ফসলগুলোর চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দেন। একই সাথে বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে দক্ষ ও সফল কৃষকগণ তাদের অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন- “ বরেন্দ্র অঞ্চলে যেভাবে দিনে দিনে পাতালের পানি নীচের দিকে যাচ্ছে, তাতে অদুর ভবিষ্যতে আমদেরকে পানি সংকটে পড়তে হবে। তাই এখন থেকেই আমদের কমপানি নির্ভর শস্য ফসলের চাষাবাদ শুরু করতে হবে।
বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন-“ স্থানীয় কৃষক এবং বারসিক গতবছর রবিশস্যের  উক্ত জাতগুলো নিয়ে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছিলো , কিছু জাত  চাষে কৃষক সফলতা পাওয়া এবার সেগুলো আরো বেশী চাষ করতে আগ্রহী হয়েছে কৃষকগণ, যার ফলে অতিরিক্ত চাহিদার দিকগুলো বারসিক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সহযোগীতা করছে।”
তিনি আরো বলেন রবিশস্যের চাষাবাদ খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশী হয়। কৃষকরা এসব জাত চাষকরে যেমন নিজে লাভবান হবেন , তেমনি বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায়ও ভুমিকা পালন করবে।
স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর