পন্ডিত বিরজু মহারাজ এখন ঢাকায়

সিল্কসিটিনিউজ বিনোদন ডেস্ক:

উপমহাদেশের কিংবদন্তি কত্থক নৃত্যগুরু পদ্মবিভূষণ পন্ডিত বিরজু মহারাজ এখন ঢাকায়। কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় আয়োজিত তিন দিনের ‘কত্থক নৃত্য উৎসব ১৪২৩’ উদ্বোধন করতে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এসে পৌঁছেছেন তিনি।

 

জানা গেছে, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় ছায়ানট মিলনায়তনে পন্ডিত বিরজু মহারাজকে সম্মাননা জানানো হবে। বড়দিনে সকাল সাড়ে দশটায় একই স্থানে তাকে নিয়ে সেমিনারে ‘পন্ডিত বিরজু মহারাজ : সংস্কৃতির শিকড়ে গতিময় সঞ্চরণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন শেখ মেহেদী হাসান। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পন্ডিত বিরজু মহারাজ ও তার ছাত্রী বিদূষী শ্বাশতী সেন যুগলবন্দি পরিবেশন করবেন ছায়ানটে।

 

কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের অর্ধিকর্তা নৃত্যগুরু সাজু আহমেদ বলেন, ‘আমরা পঞ্চমবারের মতো কত্থক নৃত্য উৎসব করছি। পন্ডিত বিরজু মহারাজ আমার গুরু। তাকে এ উৎসবে আনতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের উৎসবে গুরু-শিষ্য পরম্পরায় দেশের নবীন, জ্যেষ্ঠ শিল্পী ও মহরাজজির শিষ্যরা নৃত্য পরিবেশন করবে। আমাদের নৃত্যচর্চার ক্ষেত্রে এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে।’

 

পন্ডিত বিরজু মহারাজের জন্ম ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মৌতে। শিল্পকলায় তার অবদান বহুমুখী। তিনি একাধারে নৃত্যবিদ, সংগীতকার, কোরিওগ্রাফার, যন্ত্রশিল্পী, নির্দেশক, শিল্পস্রষ্টা ও কবি।

 

কত্থক নাচকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পন্ডিত বিরজু মহারাজের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তার পরিবারে প্রায় ৪০০ বছর এ নাচের চর্চা হয়। কৈশোর বয়সে তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির সংগীতভারতীতে। পরে ভারতীয় কলাকেন্দ্র ও কত্থক কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে প্রধান গুরু হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠিত দিল্লির কলাশ্রমে কাজ করছেন।

 

নিজের নির্দেশিত ১৭টি নৃত্যনাট্যের সংগীত পরিচালনা করেছেন পন্ডিত বিরজু মহারাজ। খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবির নৃত্য পরিচালনা করেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে। এ ছাড়া ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘দেড় ইশকিয়া’, ‘উমরাও জান’ এবং সঞ্জয়লীলা বানসালির ‘দেবদাস’ ও ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবির নৃত্য পরিচালনাও করেন তিনি। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘পদ্মবিভূষণ’ লাভ করেন পন্ডিত বিরজু মহারাজ।

সূত্র: বাংলা নিউজ