পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের ঠিকাদার এরশাদ গ্রুপের কার্যালয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে আসার অভিযোগে অস্ত্রসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, মাকসুদ বাবুল মোল্লা (৪৫) ও আবু তালেব লালু (৩১)।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর নাসির ট্রেড সেন্টারের এরশাদ গ্রুপের অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা কলাবাগান থানা হেফাজতে রয়েছেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে এরশাদ গ্রুপের করা অভিযোগ সত্য কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে জানিয়ে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুইজনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে। আটককৃতরা তাদের পূর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এরশাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী বলেন, আমরা পদ্মা সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে পাথর দিয়ে আসছি। বর্তমানে পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পেয়েছি। এই রেলের জন্য আমরা দুবাই থেকে আমদানীকৃত পাথর এনেছি। গত ২ জুন কুতুবদিয়াতে বড় জাহাজে পাথর আনা হয়। সেখান থেকে ছোট লাইটার জাহাজে প্রকল্প এলাকাতে পাথার নেওয়া হচ্ছে। তবে ২১ টি লাইটার জাহাজ প্রকল্প এলাকা শরিয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে নদীর ওপর প্রায় ২১ দিন যাবৎ ভাসমান অবস্থায় আছে। এই পাথর আমাদেরকে নামাতে দিচ্ছে না। এর পেছনে ওই প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে।
পাথর নামাতে গেলে সে কিছু লোকজন পাঠিয়ে বাধা দিচ্ছে, তারা বলছে নামাতে হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। এ ঘটনায় ৯ জুন থানায় জিডিও করেছি। এর পরও ফোনে চাঁদা দাবি করায় আমি বলি অফিসে আসেন টাকা দিয়ে দেব। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শটগানসহ ৮ থেকে ১০ জন লোক আমাদের অফিসে আসে। এসময় আমি অফিসে ছিলাম না। তারা অফিসে এসে আমাকে না পেয়ে অস্ত্র বের করে সবাইকে ভয় দেখায়। আমার একজন অফিসার কলাবাগান থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে অস্ত্রসহ হাতে নাতে মাকসুদ ও তালেব নামের দুইজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, মাকসুদ ৬ থেকে ৭ মাস আগেও চাঁদা দাবি করেছিল। তখন তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়। এরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সূত্র: দেশ রূপান্তর