পদ্মায় জাগছে নতুন চর: নির্মাণ হচ্ছে ঘরবাড়ি

বাঘা প্রতিনিধি :রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন নতুন চর জেগে উঠছে। এই সুযোগে নিরাপদে বসবসাসের জন্য চরবাসি নির্মাণ করছে ঘরবাড়ি।
কালিদাসখালী চরের আকবর হোসেন বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি নতুন করে মেরামত করছি। মেরামত করার পয়সা নেই। তার পরে তিন ছেলে তিন মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। এবারের ভাঙনে বাড়িঘর পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। কি করে ঘর মেরামত করব ? হাতে তো পয়সা নেই। তারপরও নতুনভাবে চর জেগে উঠায় ঘরবাড়ি মেরামত করছি। এমন কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

পলাশী ফতেপুর চরের আমিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চরের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি কাজ ও পাশাপাশি পদ্মায় মাছ ধরা। তাদের যা আয় হয় এই দিয়ে সংসার চরে। তারপর প্রতি বছর ঘড়বাড়ি ভেঙ্গে যায়। প্রতি বছর ঘরবাড়ি মেরামত করতে হয়। ভাঙ্গনের ফলে এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় ঘরবাড়ি তুলতে হয়। এভাবেই চলে আমাদের জীবন। শুকনো মৌশুমে কৃষি কাজ, বর্ষায় মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্ভর করতে হয়।

চৌমাদিয়া চরের আঞ্জু মোল্লা বলেন, পানি কমার সাথে সাথে ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছি। ঘরবাড়ি মেরামত না করলে থাকা মুসকিল হয়ে যাবে। খোলা জায়গাতে তো বসবাস করা যায় না।
কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তাফা বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। মেরামত তো করতেই হবে। মেরাতম না করলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস কিভাবে করব।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন নতুন চর জেড়ে উঠছে। তবে কালিদাসখালী ও লক্ষীনগর এলাকায় যেভাবে পদ্মার পাড় ভাঙ্গছে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা না করলে এলাকার চিহ্ন থাকবে না।
পদ্মার ১৫টি চরে পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ৭৬২। এবারের ভাঙনে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। তারা নতুন করে সাধ্যমত ঘরবাড়ি তৈরী করার চেষ্টা করছে। ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের তালিকা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে।

স/আ.মি