পদ্মায় কমেছে পানি, বেড়েছে সাপ আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবশেষে পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ এখনও রয়েছে। পানিবাহিত রোগসহ এলাকায় ব্যাপকভাবে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। ফলে বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগ  দেখা দিয়েছে।

পদ্মার চকরাজাপুর এলাকায় পদ্মায় আরও দুই সেন্টিমিটার পানি কমেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বুধবার চকরাজাপুর চরের বন্যাকবলিত এলাকার ইউনিয়ন সদস্য রেজাউল করিম জানান, বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১৫টি চরে তিন হাজার ৭৬২টি পরিবারে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ গত তিন সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ২ হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় বিষাক্ত সাপও ভেসে আসছে।

চকরাজাপুর চরের গোলাম মোস্তফা জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।

বাঘা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেকমত আলী বলেন, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে চিড়া, বিস্কুট, তেল, ২ হাজার প্যাকেট ও ৫০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে চরের মানুষ ইতিমধ্যে ঘর তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুনভাবে ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহের মধ্যেই পানি নেমে যাবে। ঘর নির্মাণ ও ফসল ফলাতে নতুন করে সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশা আমি ভালো করে বুঝেই ২৪ ঘণ্টা বন্যার্তদের তদারকি করা হচ্ছে। বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, চরের মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখা হয়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল আলম বলেন, গত দুদিনে পদ্মার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দু‘দিনে গড় পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ১৮ মিটার।