পদ্মার ভাঙনে বিলীন শিবগঞ্জের পাঁকা প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :

পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ৮৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়ায় প্রায় ৩শ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে স্থাপিত ৮৪নং পাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অনেকদিন যাবৎ নানান সমস্যায় জর্জরিত ছিল। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীর ভাঙনের কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় দেড় মাস থেকে পাঠদান বন্ধ আছে। ফলে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৩ জন শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩শ শিক্ষার্থীর পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের ভবন ভাঙার কাজ চলছে, বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী নেই। কোন শিক্ষকও নেই। বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইসমাইল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক আছেন। তবে এক মাস থেকে বিদ্যালয়টির পাঠদান বন্ধ থাকায় ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে শিক্ষকরা না আসায় মাঝে মাঝে আমাকে দেখাশুনা করতে হয়।

স্থানীয় পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, এলাকাটি একদিকে যেমন দূর্গম ও অন্যদিকে ভাঙন কবলিত হওয়ায় কোন শিক্ষকই স্থায়ীভাবে থাকতে চাই না। তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টি অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য ভবনটি ভাঙার কাজ চলছে। ফলে শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বিশেষ করে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদুষ্টি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, নদী ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টি অন্যত্রে সরানো হচ্ছে। মূল ভবনটি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। যাতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/বি