পদত্যাগ জটিলতায় নির্বাচন করতে পারছেন না যে ৭ প্রার্থী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পদত্যাগ জটিলতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আরও পাঁচজনসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করতে পারছেন না।

এদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেয়া সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার স্থগিত করেছেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একইসঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছেন বিএনপির ১৩ জন প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার বিএনপির যে পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চাঁদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মো. মুসলিম উদ্দিন, ঝিনাইদহ-২ আসনে মো. আব্দুল মজিদ ও জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন- রংপুর-১ আসনে আসাদুজ্জামান বাবলু ও ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন। এরা সবাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে ইসির নেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এ নিয়ে গত কয়েক দিনে হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ হারিয়েছেন বিএনপির ১৩ জন প্রার্থী। প্রার্থিতা হারানোর পেছনে দণ্ডিত হওয়া, ঋণখেলাপি এবং পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে তা গৃহীত না হওয়া এবং চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর অতিবাহিত না হওয়ার কারণ ছিল উল্লেখযোগ্য।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন, অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায়, সুব্রত কুমার কুন্ডু, সৈয়দা নাসরিন ও আবু তোরাব আলী। বিএনপির দুই প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যদিও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছিল। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগেই তারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। নিয়মানুযায়ী শুধু পদত্যাগ করলে হবে না, পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রমাণপত্রসহ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।

তিনি বলেন, এ কারণে হাইকোর্ট তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছেন এবং তারা আপাতত নির্বাচন করতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্টের আদেশে বিএনপির প্রার্থী ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে মো. তমিজউদ্দিন, জামালপুর-১ আসনে রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খানম রীতা, সিলেট -২ আসনে তাহসীনা রুশদীর লুনা, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, চাঁদপুর-৪ আসনে আব্দুল হান্নান, রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ মিল্টন ও সরকার বাদল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ হারান।