নিজস্ব প্রতিবেদক:
সভ্যতার যেমন বৈষয়িক দিক আছে, তেমনি আছে মানসিক ও চিন্তাগত দিকও। উৎপাদন ও বন্টন, আইন-কানুন ও শাসনব্যবস্থা এবং উন্নত ভবিষ্যতের আশা ও আদর্শ হয়ে থাকে সভ্যতার অবলম্বন। এগুলোতে ভালো-মন্দ ও ন্যায়-অন্যায় আছে। ন্যায়, সর্বজনীন কল্যাণ ও সুন্দরের প্রাধান্য থাকে সভ্যতায়।
বিশ^ দর্শন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘সভ্যতার সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহমর্মিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা আরও বলেন, সভ্যতা হল সমাজে মন্দের সঙ্গে ভালোর সংগ্রাম, সেই সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতা, সুসম্পর্ক, সৃষ্টিশীলতা ও সম্প্রীতির মনোভাব। সভ্যতার মর্মে ক্রিয়াশীল থাকে নৈতিক চেতনা- ভালো-মন্দ ন্যায়-অন্যায় ও কর্তব্য সম্পর্কে ধারণা, আর বাস্তবজীবনে তার অনুশীলন।
বিভাগের শিক্ষক তাসনিম নাজিরা রিদার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক বিশিষ্ট সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তক আবুল কাসেম ফজলুল হক। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও অধ্যাপক এম আব্দুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান।
কর্মসূচির শুরুতে মমতাজউদ্দিন কলাভবনের সামনে থেকে দর্শন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে সকাল ৯টায় বিভাগের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভাগের শিক্ষকসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
স/শ