ন্যায়বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠা কত দূর

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার দিবস আজ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ন্যায়বিচার খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর হলো ন্যায়বিচার। কেউ ন্যায়বিচার লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে তা ওই ব্যক্তি, তার পরিবার এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য গুরুতর, কখনো কখনো ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এ জন্য জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায়বিচার লাভের অধিকারকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূলকথা হলো, আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে প্রত্যেক ব্যক্তির দ্রুত, প্রকাশ্য ও পক্ষপাতহীন বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো—এক. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা; দুই. নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার; তিন. দ্রুত বিচার লাভ; চার. প্রকাশ্য বিচার লাভ; পাঁচ. যে আইন দ্বারা বিচার করা হবে সে আইনের ন্যায়বিচার প্রদানের সক্ষমতা এবং ছয়. বিচারকের মেধা ও দক্ষতা।

আমাদের সংবিধানের ৩৫ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘…প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হইবেন। ’ সীমিতসংখ্যক বিচারক ও অপ্রতুল অবকাঠামোকে সম্বল করে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দুর্বহ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর পরও আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা পরিকল্পিত প্রচারের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে প্রায়ই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। প্রিয় সন্তান-স্বজন হারিয়ে পাগলপ্রায় কেউ যদি বলেন, ‘বিচার চাই না, বিচার নাই, বিচার কার কাছে চাইব’, তাহলে এমন কথা মেনে নেওয়া যায়। ঘটনার আকস্মিকতায়, অতিকষ্টে কিংবা নিয়ন্ত্রণহীন আবেগের বশে এমন কথা কেউ উচ্চারণ করতে পারেন। কিন্তু বক্তৃতা-বিবৃতি কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার নেই, বিচার বিভাগের ওপর থেকে আস্থা উঠে গেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি—এসব ক্রমাগত প্রচার করার পেছনে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে, তা সহজেই অনুমেয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ নানা মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় হচ্ছে। মৌলিক অধিকার, মালিকানা, দখল, অর্থ, চাকরিসহ নানা সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার ফিরে পাচ্ছেন অনেক বিচারপ্রার্থী। তাহলে কেন বলব বিচার নেই?

আইন অনুযায়ী মামলা নিয়ে আদালতের কাছে গেলে আদালত কারো মামলা ফেরত দিয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে? বরং পুলিশ মামলা না নিলে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাহলে কী করে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা বলব? তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে মামলা নিষ্পত্তিতে ভয়ংকর রকম দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে, ফৌজদারি মামলায় সাজার হার খুবই কম, মামলার রায় বাস্তবায়নে রয়েছে বিলম্ব ও বিড়ম্বনা। নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতা, বেশির ভাগ আসামির খালাস পেয়ে যাওয়া এবং রায় বাস্তবায়নে বিলম্ব—সব কিছুর দায় বিচার বিভাগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে যদি বলা হয় বিচার নেই কিংবা বিচারহীনতার সংস্কৃতি, তাহলে এটি বিচার বিভাগের প্রতি অবিচার। একটি মামলায় বেশ কয়েকটি পক্ষ থাকে। বাদী-বিবাদী, আইনজীবী, পুলিশ, রাষ্ট্রপক্ষ, আদালত এবং কারা কর্তৃপক্ষ। এখন যেকোনো এক পক্ষের অদক্ষতা বা অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হতে পারে। বিচার বিলম্বিত হতে পারে। অপরাধী খালাস পেয়ে যেতে পারে। সে জন্য কি শুধু বিচার বিভাগ দায়ী?

আমাদের দেশে মামলা বিলম্বে নিষ্পত্তির পেছনে অনেক কারণ আছে। আদালতে বিচার নিষ্পত্তিতে সাক্ষী, দলিলপত্র, তদন্ত রিপোর্ট, মেডিক্যাল সার্টিফিকেটসহ অনেক বিষয় প্রয়োজন। এগুলো সময়মতো না পাওয়া গেলে বিচার পেতে বিলম্ব হয়। সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে ব্যর্থতা, তদন্তে ধীরগতি, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠিকমতো তামিল না করা, তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসারের সাক্ষ্য প্রদানে বিলম্ব ইত্যাদি কারণে মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হয়। সাক্ষী না এলে বিচারিক কার্যক্রম বারবার মুলতবি করা হয়। এভাবেই বিচার বিলম্বিত হয়। এ ছাড়া মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। জনসংখ্যা ও বিচারকের অনুপাত বিষয়ে Judges and Magistrates Per Million : Countries Compared শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাশিয়ায় প্রতি ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে ৪৬৮ জন বিচারক, যুক্তরাষ্ট্রে ১০১ জন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো গড়ে ১৭৮ জন, ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রে গড়ে ১৮২ জন, জি৭-ভুক্ত রাষ্ট্রে গড়ে ১০৬ জন, তুরস্কে ৯৩ জন, কাতারে ৯১ জন, আফগানিস্তানে ৮৭ জন, মিয়ানমারে ২৪ জন বিচারক রয়েছেন। আমাদের প্রতিবেশী ভারতে প্রতি ১০ লাখে ২০ জনের বেশি বিচারক রয়েছেন। আর বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে মাত্র ১০ জন বিচারক রয়েছেন।

সময়ের পরিক্রমায় রাষ্ট্র ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করে নতুন নতুন বিষয়কে বিচারিক কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ জন্য পর্যাপ্ত আদালত তৈরি করা হয়নি। বিদ্যমান আদালতের ওপর তা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ সাইবার ক্রাইম, মানবপাচার, পরিবেশ, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের কার্যাবলির বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। এ ছাড়া সময়ে সময়ে একটি উপজেলা ভেঙে একাধিক উপজেলা ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি, এএসপি ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করা হলেও এসব নবসৃষ্ট উপজেলার জন্য বিচারকের পদ সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে এক উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে একাধিক উপজেলার বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আর এ প্রক্রিয়ায় মামলাজট বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে চার হাজার ৩২৯টি মামলা দায়ের হয় আর তিন হাজার ২৭৮টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। ফলে প্রতিদিন এক হাজার ৫১টি মামলা অনিষ্পন্ন থেকে যাচ্ছে। আর এভাবে বছরান্তে নতুন করে অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে তিন লাখ ৮৪ হাজার, যা এরই মধ্যে পর্বতসম মামলাজটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৬টি।

বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে ন্যায়বিচারের অধিকার নিজেই অবিচারের শিকার হয়ে বিচারপ্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গবেষণা বলছে, মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ বিলম্বের ফলে মামলায় জড়িত মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্রদের শুধু অর্থনৈতিক প্রান্তিকীকরণই ঘটছে না, বরং তাদের পরিবারের সদস্যদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার উপভোগকেও বাধাগ্রস্ত করছে। মামলার খরচ জোগাতে পরিবারপ্রধানকে পরিবারের সদসদ্যদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ওপর স্বাভাবিক বরাদ্দ কর্তন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ মেয়াদে মামলায় জড়িতরা উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার টেনশন, মানসিক রোগ, গ্যাস্ট্রিক, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য ও জীবনের অধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। বিলম্বিত বিচারের প্রভাব শুধু ব্যক্তির ওপরই পড়ছে না, বরং বিলম্বিত বিচার সাজা না হওয়ারও অন্যতম কারণ।

পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে ৩৭ শতাংশ হত্যা মামলায় সাক্ষীরা আসামিপক্ষের সঙ্গে আপস করে ফেলেন। একটি কাঁঠালগাছ কাটা নিয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুরে ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত ফয়জুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। এক বছরের তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাত বছর পর মামলার রায়ে সব আসামি খালাস পান। রায়ে আদালত বলেছেন, ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই এজাহারের সমর্থনে সাক্ষ্য দেননি। আদালতের বাইরে বিবাদীরা মামলায় আপস করে থাকতে পারেন।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন আদালতে যেসব মামলায় সাজা হয়েছে, সেগুলোর বিচারকাজে গড়ে পাঁচ বছর এবং যেসব মামলায় আসামি খালাস পেয়েছেন, সেগুলোতে গড়ে সাত বছর সময় লেগেছে। অর্থাৎ আদালতে বিচারকাজ যত দীর্ঘায়িত হয়েছে মামলায় খালাসের পরিমাণ তত বেড়েছে। সংবাদে প্রকাশ, চার্জশিটের ৫৫.৮৭ শতাংশ অভিযুক্তেরই সাজা হয় না। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, চার্জশিটভুক্ত বেশির ভাগ অভিযুক্তের সাজা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না কেন? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই সামনে এসেছে পুলিশি তদন্তের দুর্বলতার দিক। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ভুলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে পিবিআইয়ের গবেষণায়—ঘটনা প্রমাণ না করেই অভিযোগপত্র দাখিল, খসড়া মানচিত্রে ভুল, নিরপেক্ষ লোক থাকা সত্ত্বেও তাঁদের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না করা, ক্ষেত্রভেদে আসামি বা সাক্ষীদের জবানবন্দি না নেওয়া, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে প্রাপ্ত ফলের মধ্যে সামঞ্জস্য না করা, ত্রুটিপূর্ণ জব্দ তালিকা, ক্রাইম সিন সঠিকভাবে সংরক্ষণে অদক্ষতা, ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহে বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণে অনীহা, আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে প্রেরণের বিষয়ে অজ্ঞতা, গত্বাঁধা সুপারভিশন নোট, পারিপার্শ্বিক আলামত সংগ্রহে অদক্ষতা, সিডিআর প্রাপ্তি এবং সেল বিশ্লেষণে বিলম্ব ও অদক্ষতা, ১৬১ ধারায় একই ধরনের জবানবন্দি রেকর্ড ও সুপারভাইজিং কর্মকর্তার নিবিড় তদারকির অভাব, তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজেরাই আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়া এবং আদালত থেকে বারবার সমন জারির পরও সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থতা। পুলিশের তদন্ত এখন অনেকটা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনভিত্তিক হয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের ত্রুটির কারণেও সাজা হয় না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জখমের বর্ণনা, মৃত্যুর সময়, হত্যা না আত্মহত্যা ইত্যাদি বিষয়ের সঠিক উল্লেখ না থাকার কারণে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বাস্তব ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে মিল না থাকার কারণেও মামলার আসামিরা খালাস পান। ১১ শতাংশ মামলার ক্ষেত্রে এমনটা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিকতায় হত্যার আলামত পেয়েছেন এবং সেভাবেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বিচার বিভাগ নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যে রায় দিচ্ছেন তার বাস্তবায়নে নির্বাহী বিভাগ বিলম্ব করছে।

দক্ষ বিচারব্যবস্থা শুধু ব্যক্তির ন্যায়বিচারের জন্য নয়, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও এটি সহায়ক। একটি কার্যকর বিচারব্যবস্থা যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করে বিনিয়োগ ও ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। যার ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়, রাজস্ব সংগ্রহ সহজ হয়। যথাসময়ে আয়কর, কাস্টম, ঋণ ও চুক্তিসংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করা যায়। আর এ সবই অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে, যা দারিদ্র্য দূরীকরণেও সহায়তা করে। কসমেটিক পরিবর্তন নয়, বিচার বিভাগের খোলনলচে পাল্টে ফেলা সংস্কার প্রয়োজন। এ জন্য বাজেট বৃদ্ধিসহ রাষ্ট্রকে বিচার বিভাগের প্রতি আরো মনোযোগী হতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, আইন বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
zhossain1965@gmail.com

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ