নেপাল সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় গ্রামে ধর্ষণ ও হত্যার এক নৃশংস ঘটনা

ভারতের উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি নামক এলাকায় এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। শনিবার এক আখক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক কিশোরীর মরদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ১২ বছরের ওই কিশোরীকে। সন্দেহভাজন হিসেবে তার গ্রামেরই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার নেপাল সীমান্ত লাগোয়া লখিমপুর খেরির গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার একজনের বাড়ি লাগোয়া ক্ষেত থেকেই তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নৃশংসতার শিকার হয়েছে তাদের মেয়ে। ধর্ষণের পর তাকে গলা টিপে, চোখ উপড়ে ও জিব কেটে খুন করা হয়েছে।

পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে নিহতের বাবা বলেছেন, ‘ওর সন্ধানে আমরা গোটা গ্রাম ঘুরে শেষে আখক্ষেতে দেহ খুঁজে পেয়েছি। মেয়ের জিব কেটে চোখ জোড়াও উপড়ে ফেলে ধর্ষকরা।’

তবে পুলিশ বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি, প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চোখ উপড়ে নেওয়া বা জিব কেটে নেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। ধর্ষণ ও গলা টিপে হত্যার প্রমাণ মিলেছে। রবিবার খেরির পুলিশ সুপার সত্যেন্দ্র কুমার বলেন, ‘মেয়েটির চোখ উপড়ানো হয়নি, জিবও কাটা হয়নি। এই দাবি সত্য নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন কিছুর কোনো উল্লেখ নেই। চোখের কাছে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। আখের ধারালো দিকের কোনো অংশে লেগেই আঁচড় লেগে থাকতে পারে। মেয়েটির ময়নাতদন্তে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। দুই অভিযুক্তকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ