রাজশাহী-৩ আসন

নেই শক্ত প্রার্থী, ফুরফুরে ইমেজে আসাদ


নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ আসন (পবা-মোহনপুর) একমাত্র আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ফুরফুরে ইমেজে আছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। অন্য ৬টি আসনে যেমন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর বিপরিতে একই দলের একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি করছেন। সেখান এ আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। যার কারণে নৌকার জয়ের ব্যাপারে একমাত্র এ আসনটিতে শতভাগ জয়ের নিশ্চয়তা রয়েছে।

এবার রাজশাহী-৩ আসনটিতে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত আসাদুজ্জামান আসাদ (নৌকা), বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদি আন্দোলনের একেএম মতিউর রহমান (নোঙর), জাতীয়পার্টির আব্দুস সালাম খান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের এনামুল হক (ছড়ি), বিএনএফ’র এর বজলুর রহমান (টেলিভিশন) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সইবুর রহমান (আম) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত ১০ বছর এই আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন আয়েন উদ্দিন। তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি। তারপরও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা কারণে তিনি ছিলেন বিতর্কিত। শেষ পর্যন্ত তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোময়নপত্র উত্তোলন করলেও সেটি প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমান তিনি নিজ দলের প্রার্থীর সাথে কাজ না করলেও কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন না। এতে বলাই যায়, এই একটি মাত্রা আসনে এবার নৌকার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত।

এ আসনের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দিন থেকে এই আসনে আসাদুজ্জামান আসাদের ভোট ব্যাংক রয়েছে। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আওয়ামী লীগ থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি তার পক্ষে কাজ করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি এবার দলীয় প্রতিক নৌকা পেয়ে নির্বাচন করছেন। অন্যান্য আসনে দলের একাধিক স্বতন্ত্র থাকায় নৌকা যেমন চাপের মুখে রয়েছে, সেখানে রাজশাহী-৩ আসনের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।

এই রয়েছে আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদি আন্দোলনের একেএম মতিউর রহমান (নোঙর), জাতীয়পার্টির আব্দুস সালাম খান (লাঙ্গল) নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি। একেএম মতিউর রহমান এক সময় বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ায় তিনি দল পরিবর্তন করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। যদিও তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বিএনপির ভোট পাবেন এমন আশা করেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো বিএনপি যেহুত নির্বাচনে যায়নি, সেহুত মতিউর রহমান আদৌ কি বিএনপির ভোট পাবেন? বিএনপির ভোটাররা বলছেন, তারা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন না। সেখানে মতিউর রহমানকে ভোট দেয়ার প্রাশ্নই আসে না। তিনি ব্যক্তিগত আত্মীয় স্বজন ছাড়া কোনো ভোট পাবেন না। সেই ভোটার সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারপরও তিনি দিন রাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে জাতীয়পার্টি থেকে আব্দুস সালাম খান নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জাতীয়পার্টি এ আসনে নৌকার কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে এমনটা মনে করছেন না ভোটাররা। কারণ পবা-মোহনপুর দুই উপজেলা মিলে ১০ হাজার কর্মী সমর্থক নেই জাতীয় পার্টির। তারপরও আব্দুস সালাম খান আদাজল খেয়ে ভোটের মাঠে কাজ করছেন। এ আসনে এক সময় জাতীয় পার্টিার প্রভাব থাকলেও এখন একেবারে নিষ্ক্রিয়। যার কারণে রাজশাহী-৩ আসনে বিনা বাধায় নৌকা জয়ের মুখ দেখবে এমনটা মনে করছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে সর্ব মহল।