নেইমার যখন রোনালদো

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বকাপের হতাশা পর্ব কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে সবাই। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ ও ইউরোপে উয়েফা নেশনস কাপ শুরু হচ্ছে এ সপ্তাহে। ৮ ও ১২ সেপ্টেম্বর প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্রে এরই মাঝে উড়ে গেছে দল। দুই প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও এল সালভাদরের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলতে নেইমার কুতিনহোরা এখন সবাই অনুশীলনে ব্যস্ত। সেখানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হওয়ার শখ জেগেছিল নেইমারের।

ব্রাজিলের অনুশীলন মানেই সতীর্থদের মাঝে মজা, খুনসুটি। এবার অবশ্য নতুন করে দল সাজানো হয়েছে। মার্সেলোর মতো ফুর্তিবাজ সঙ্গীকে তাই এ দুই ম্যাচে পাচ্ছেন না নেইমার-কাসেমিরোরা। সে অভাব অবশ্য নেইমারই পূরণ করে দিচ্ছেন। প্রথমবারের মতো ব্রাজিল দলে ডাক পাওয়া আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও রিচার্লিসনকে ব্যতিক্রমী উপায়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন। এরপরই রোনালদো হওয়ার কিংবা রোনালদোকে নিয়ে মজা করার শখ হয়েছে তাঁর।

ট্রেনিংয়ে ডি বক্সের ওপর থেকে শট নিয়ে গোল করার অনুশীলন চলছিল ব্রাজিলের। বলটা ডান পায়ে নিয়ে সামলে নিলেন নেইমার। তারপর দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে গোলরক্ষককে কোনো সুযোগ না দিয়ে জালে পাঠিয়ে দিলেন। দুর্দান্ত এক গোল। তবে গোলের উদ্‌যাপনে গোলটাও ভুলিয়ে দিলেন। এক হাত কানে তুলে দৌড় শুরু করে দিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে রোনালদোর সেই ট্রেড মার্ক দৌড়। সে উদ্‌যাপনটা একটু পুরোনো হয়ে যাওয়ায় নতুন উদ্‌যাপনটাও দেখিয়ে দিলেন। গত কয়েক বছরে রোনালদোর বিখ্যাত সেই লাফ দিয়ে দুই হাত ছড়িয়ে দেওয়া ‘সিইইউউ’ উদ্‌যাপনও করলেন।

রোনালদোকে নিয়ে নেইমারের মুগ্ধতা নতুন কিছু নয়। মেসির বাঁ ও রোনালদোর ডান পা পাওয়ার আশা ২০১৫ সালেই জানিয়েছেন। কিন্তু ক্লাব সতীর্থ এমবাপ্পের মতো রোনালদোর ভক্ত কখনোই ছিলেন না নেইমার। এমবাপ্পের মতো কখনো ‘সিইইউউ’ উদ্‌যাপনও তাঁকে কখনো করতে দেখা যায়নি। কিংবা ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের মতো সাত নম্বর জার্সিও কখনো পরেননি। তাই রোনালদোর মতো নেইমারের এমন উদ্‌যাপন আলোচনার জন্ম দিচ্ছেই।