নুসরাত-যশের বিয়ে কি সময়ের অপেক্ষা মাত্র?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিয়ের মাত্র দুবছরেই সংসার জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত।  স্বামী নিখিলের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না।  এই ফাঁকে সম্পর্ক বহুদূর গড়িয়েছে টালিউড নায়ক যশের সঙ্গে।  এখন নিখিলের হাত ছেড়ে যশের সঙ্গে নুসরাতের সাতপাকে বাঁধা পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।  টালিউডে এটিই এখন বহুল চর্চিত বিষয়।

সম্প্রতি নুসরাতের বেশ কিছু ছবি ও ফেসবুকে যশের সঙ্গে তার সম্পর্ক বহুদূর গড়ানোর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন তার ভক্তরা।  দুদিন আগে টালিউড নায়িকার হট, বোল্ড ছবি নেটদুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে।  যদিও নুসরাত দাবি করেছেন, ওই পোশাকটি তার অফ শোল্ডার একটি ড্রেস, কিন্তু নেটিজেনরা এর মধ্যে ছোট পোশাকেরই ইশারা দেখছেন।

তৃণমূল সাংসদের আরেকটি পোস্টে অবশ্য তারা নুসরাতের নতুন জীবনের ইঙ্গিতও দেখছেন। এই সাম্প্রতিকতম পোস্টে নুসরাত লিখেছেন— এক ভালোবাসায় হৃদয় ভাঙে, অন্য ভালোবাসা সব ফিরিয়ে দেয়।  এই দ্বিতীয় ভালোবাসা অভিনেতা যশ দাসগুপ্তর বলেই মনে করা হচ্ছে।  গত বছর এনা সাহার এস ও এস কলকাতা ছবিতে নুসরাতের নায়ক ছিলেন যশ। তখনই তাদের প্রেমের উন্মেষ। তার শিল্পপতি স্বামীর বাড়িতে তখন হাঁপিয়ে উঠেছেন নুসরাত।

লন্ডনের ওয়ারউইক থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতক, পারিবারিক ব্যবসা রঙ্গলির সিইও, ৩২ বছরের নিখিল এবং নুসরাতের মানসিক গঠন ভিন্ন রকমের।  নিখিল উদার হয়েও আদতে রক্ষণশীল।  আর নুসরাত মুক্তমনা।  সারাদিনের পরিশ্রমের পর নিখিলের ভালো লাগে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে, সুখ-দু:খ ভাগাভাগি করে নিতে।  অথচ নুসরাতের মন তখন আকুলি-বিকুলি করে রাতের পার্টির জন্য।

প্রকৃতপক্ষে রক্ষণশীল মোহন ও শকুন্তলা জৈন চাননি ছেলে এক সিনেমার নায়িকাকে বিয়ে করুক।  কিন্তু ছেলে তো নুসরাতের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ২০১৮ থেকেই।  এ কারণে ২০১৯ সালের ১৯ জুন যখন তারা তুরস্কে বিয়ে করেন তখন বাবা-মা আর আপত্তি করেননি। নিখিলের বোন কীর্তি বেরিওয়ালেরও এই বিয়েতে আপত্তি ছিল।

কিন্তু দুই প্ৰেমপাগল হৃদয় কোনো বাধা মানেনি।  বিয়ের দেড় বছরের মধ্যেই ঘোর কাটে নুসরাতের।  সংসার জীবন নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন।  পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন আগেই।  নির্বাচনে জিতে এমপি হয়েছেন।  নুসরাতের  বহিরম্মুখীনতা  মেনে নিতে পারছেন না শাশুড়ি শকুন্তলা।  নিখিল এতদিন মুখ বুঝে মেনে নিলেও এখন বাবা-মায়ের কথা ফেলে দিতে পারছেন না।

এই নিয়ে নিখিল-নুসরাতের মধ্যে বিভেদ যখন চরমে, ঠিক তখন টালিউড নায়ক যশ দাসগুপ্ত এলেন নুসরাতের জীবনে।  এই নায়কের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা বাড়ল নুসরাতের।  একসঙ্গে কফি পান, নাইট আউট শুরু হলো।  একদিন সামান্য একটা বিবাদের জেরে নিউ আলিপুরের শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নুসরাত চলে যান বাল্লিগঞ্জে নিজেদের পৈতৃক ফ্ল্যাটে।

ছোটবোন নুযাত কানাডায় উচ্চ শিক্ষা নিতে যাওয়ার আগে বহু চেষ্টা করেছিলেন বোন-ভগ্নিপতির দূরত্ব ঘোচাতে।  সেটি আর সম্ভব হয়নি।  নিখিল উত্তর ভারতে লং ড্রাইভে গিয়ে দিদি কীর্তির কাছে স্বীকার করলেন, জীবনের অঙ্ক মেলাতে ভুল হয়ে গেছে।

নুসরাত এখন জীবনের হিসাব মেলাতে শুরু করেছেন যশের সঙ্গে।  নুসরাতের সাম্প্রতিক পোস্টে ইঙ্গিত দুজনের এক হওয়ার। সত্যিই কি এক ভালোবাসা ভাঙে, অন্যটা গড়ে!