নুসরাতের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম রাজশাহী, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট রাজশাহী অঞ্চল, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার রাজশাহী, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি এবং পিপিজি রাজশাহীর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মহানগীরর আলুপট্টি মোড়ে গ্রামীণ ফোন সেন্টারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা নুসরাতকে শ্লীলতাহানি ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নৃশংসভাবে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিকের রাজশাহী সভাপতি সফিউদ্দিন আহমদ, রাজশাহী সনাক সভাপতি প্রফেসর দীপকেন্দ্র নাথ দাস, রাজশাহী মহানগর সুজনের সভাপতি মো. পিয়ার বক্স, সুজনের রাজশাহী জেলা সম্পাদক মো. মাহমুদুল আলম মাসুদ, দৈনিক ইত্তেফাক রাজশাহী ব্যুরো চীফ আনিসুজ্জামান, সাবেক ব্যাংকার এমডি মাহমুদ হাসান ডন, যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক মওদুদ রানা, সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদক হাসান রাজিব, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট রাজশাহী সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পাল, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গারের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর মোস্তাফিজুর রহমান সজল, প্রডিজি প্রোগ্রাম অফিসার মো. মাসুম রাসেল, পিপিজি কোঅর্ডিনেটর মো. মিজানুর রহমান, পেভ অ্যাম্বাসেডর মহেশ চন্দ্র সরকার, ইয়ূথ লিডার সুস্মিতা ঘোষ, স্মৃতি সরকার, জিহাদুল ইসলাম জিহাদ, চন্দন সরকার দীপু, মনিরুল ইসলাম সবুজ, জোখার প্রমূখ।

এসময় বক্তারা আরো বলেন, নুসরাতের হত্যার বিচার চাই, অধ্যক্ষসহ জড়িতদের ফাঁসি চাই, একজন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ যে ঘৃণ্য কাজ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই সময়েও মানুষ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে, এটা তো চিন্তাও করা যায় না। এই অপরাধের শাস্তি ফাঁসি ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায়। এসময় মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে সে ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যায়। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

স/অ