রাবির নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রোভিসিসহ অপর শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাবির নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপউপাচার্য (প্রোভিসি) সারোয়ার জাহান সজলসহ আরো এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর শিক্ষক হলেন, আইসিটি সেন্টারের পরিচালক খাদেমুল ইসলাম।

 

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে তাদের এ হুমকি দেওয়া হয়। পরীক্ষা বন্ধ না করলে পরিস্থি অনেক খারাপ হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয় ওই দুই শিক্ষকের পরিবারের লোকজনকে।

 

বিষয়টি সিল্কসিটি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রোভিসি সারোয়ার জাহান সজল। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় অবস্থিত তার বাসায় ৩০-৪০ জনের একটি দল জোর করে প্রবেশ করে।

 

এসময় তার স্ত্রী হাসনা আরাকে উদ্দেশ্য করে ওই দলের সদস্যরা বলে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করতে বলবেন আপনার স্বামীকে, না হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। প্রাণে মেরে ফেলা হবে।’

 

এরপর ওই দলটি প্রোভিসি সারোয়ার জাহান সজলের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।

 

  • তিনি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘রাতে বাড়িতে জোর করে ঢুকে এভাবে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পর থেকে গোটা পরিবারের সদস্যদের মাঝেই এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাড়ির লোকজন সবাই ভয়ে তটস্থ হয়ে আছে। তারা যে কাজটি করেছে, সেটি খুবই অন্যাই।’ ওরা এই হুমকিটা আমার অফিসে গিয়ে দিয়ে আসলে হয়তো পরিস্থিতি এতোটা খারাপ হতো না-যোগ করে প্রোভিসি।

 

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায় আইসিটি সেন্টারের পরিচালক খাদেমুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে আরেকটি দল তাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ না করা হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে আসেন ওই দলটি।

 

  • এ ঘটনার আইসিটি সেন্টারের পরিচালক খাদেমুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের মাঝেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলেও তার ঘোনিষ্টজনরা নিশ্চিত করেছেন।

 

তবে দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি বলে দাবি করেন নগরীর মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবির।

 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে নগরীর মতিহার থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

 

এর আগে গত বুধবার তারা একটি নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করেও দেয়। এ নিয়ে উত্তেজনা আরো বেশি আকার ধারণ করে।

 

স/আর