নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় জিম্বাবুয়েতে লক্ষাধিক গ্রেফতার

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিধি-নিষেধ না মানায় আফ্রিকা মহাদেশের উত্তরাঞ্চলের দেশ জিম্বাবুয়েতে গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাতে রোববারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

পুলিশ বলছে, কোনো প্রয়োজন ছাড়াই চলাফেরা অথবা মুখে মাস্ক না পরার করার কারণে গত দুই দিনে প্রায় এক হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কিছুটা শিথিল হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।

সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, করোনার নিয়ন্ত্রণের জন্য জারি নিষেধাজ্ঞাগুলোকে বিরোধী ছাড়াও অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেফতারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। বিরোধী দল ও দেশটির সুশীল সমাজ আগামী ৩১ জুলাইন দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে প্রেসিডেন্ট এমারসন মনাঙ্গাগোয়ার পদত্যাগ দাবি করছেন।

বর্তমান বিধিনিষেধ বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরবেন তাদেরকে সরকার অনুমোদিত কেন্দ্রে তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মোট ২৭৬ জন পালিয়ে গেছেন; যাদের মধ্যে কিছু মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে গ্রেফতার ৩০ জনকে পরিবার ও কমিউনিটিতে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটনার দায়ে আদালতে তোলা হবে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির  বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, এর মধ্যে এমন দুজন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের মাধ্যমে তাদের পরিবারের আরও সাত সদস্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন।

তবে করোনা প্রতিরোধে জারি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর ও শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সরকারি পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, এবার দেশটির অর্থনীতি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হবে। এদিকে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি গত জুনে বেড়ে হয় ৭৮৫ শতাংশ।