শুক্রবার , ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নির্বাচন ঘিরে বন্দরে বাড়তি নজরদারি এনবিআরের

Paris
ডিসেম্বর ২১, ২০১৮ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দরসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধে নজরদারি বাড়িয়েছে। বিশেষভাবে মিথ্যা ঘোষণায় মদ, মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক, জাল অর্থ দেশে প্রবেশ বন্ধে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধে এনবিআর বন্দরে সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন, আগে বা পরে কোনো অসাধু ব্যক্তি দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরিতে মিথ্যা ঘোষণায় অবৈধ পণ্য আনতে না পারে সে জন্য বন্দরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সবার প্রত্যাশা জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনবিআর এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।’

এনবিআর সূত্র জানায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সব স্থলবন্দরে কী ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হচ্ছে তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে। স্থলবন্দরের মধ্যে বাংলাদেশের দিকে বেনাপোল, সোনামসজিদ, আখাউড়া ও হিলি স্থলবন্দর এবং ভারতের দিকে কালিরানী, আংরাইল, হরিদাসপুর, জয়ন্তীপুর, বানোবেরিয়া, সুটিয়া, বাঁশঘাটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিকালে এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে অনেক চালান আটক করা হয়েছে। গত এক বছরে আটক চালানের মধ্যে প্রায় ৬১ কোটি টাকার জাল টাকার নোট পাওয়া গিয়েছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদির নামে এসব চালান আনা হয়। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা কাজে ব্যবহূত সরঞ্জামের নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কার্টনে করে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিকালে মদ, মাদক, রাসায়নিক, রিস্ফোরকের একাধিক চালানও আটক করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা চালানের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় কার্টন খুলে দেখে জাল নোট উদ্ধার করে। এসব চালান দুবাই, পাকিস্তান ও ভারত থেকে এসেছে। এসব চালানের কার্টনের সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্রে আমদানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া আছে তার প্রত্যেকটি মিথ্যা। এসব চালান আটক করার পর যার বা যাদের গ্রহণ করার কথা তাকে বা তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশকালে বা বাংলাদেশ থেকে পণ্য পাঠাতে বড় বড় প্যাকেট বা কার্টনের বাইরে থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোঝার উপায় থাকে না ভেতরে কী ধরনের পণ্য আছে। নির্বাচনের আগে সব ধরনের ছোট-বড় কার্টন, কনটেইনার, প্যাকেট ন্যূনতম সন্দেহ হলে খুলে দেখে যাচাই করে ছাড় করাতে এনবিআর মূল কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপত্তিকর পণ্য আটকের পর বিস্তারিত এনবিআর চেয়ারম্যানকে অতিদ্রুত জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, সমুদ্র ও স্থলবন্দরের লোকবলের অভাবে এবং অটোমেশন না থাকায় পণ্যভর্তি কার্টন, কনটেইনার, প্যাকেটসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক খুলে ভেতরে প্রকৃতপক্ষে কোন জাতীয় পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে তা যাচাই করা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুল্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র দেখে পণ্য ছাড় করে। এভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই অধিকাংশ মালপত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করে। শুধু সন্দেহ হলে বা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোনো অবৈধ পণ্য আনার সংবাদে কার্টন খুলে যাচাই করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় দেশে পণ্য প্রবেশে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম  বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত তথ্য যাচাই এবং কী ধরনের পণ্য আনছে তা খতিয়ে দেখা শুল্ক গোয়েন্দাদের নিয়মিত কাজ। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। কোনো ধরনের অবৈধ পণ্য দেশে প্রবেশে বন্ধ করতে বন্দরে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বিশেষভাবে মিথ্যা ঘোষণায় মদ, মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক, সোনা, ইলেকট্রনিকস পণ্য আনা হচ্ছে কি না তা কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য