নির্বাচনে কারচুপি করা হলে গণঅভ্যূথান গড়ে তোলা হবে: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহামন মিনু বলেন, আগামী সেমাবারের সিটি নির্বাচন হবে জনগণের আশা আকাংখা পুরনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে সরকার ও তার দলীয় প্রার্থী যদি কোন প্রকার অনিয়ম, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতি করে তাহলে ৬৯ সালের ন্যায় গণঅভ্যূথান গড়ে তোলা হবে। নির্বাচনের কারচুপি করার সমোচিৎ জবাব দেওয়া হবে।

আজ শনিবার বিকেলে বিএনপি ও ২০দলীয় মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনের ধানের শীষের পক্ষে শ্রাবনের বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গণপদযাত্রা করেন। তারা মালোপাড়াস্থ পার্টি অফিস থেকে শুরু করে সাহেব বাজার দিয়ে বিন্দুর মোড় হয়ে রেলওয়ে ষ্টেশনের গিয়ে পথসভা করেন। পথসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কারচুপি করে দলীয় প্রার্থীকে জিেিত মনে করছে রাজশাহীতে একইরকম হবে। কিন্তু রাজশাহীর মানুষ এত বোকা নয় যে, সরকারের নীলনক্সা চেয়ে চেয়ে দেখবে। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকরা এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া জন্য তৈরী হয়ে আছে।

মিনু বলেন, কোন স্বৈরাচারী সরকার কোন দেশেই বেশীদিন স্থায়ী হতে পারেনি। এই ফ্যাসিস্ট নব্য স্বৈরাচার, নির্যাতনকারী, খুনী, ব্যাংকলুটকারী সরকার আর টিকে থাকতে পারবে না। সিটি র্নিাচনের পরেই এই অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর পতনের কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেইসাথে রাজশাহী বুলবুলকে বিজয়ী করে এই আন্দোলন আরো বেগমান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিনু বলেন, আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এই রেওয়ে ষ্টেশন বিএনপি’র আমলে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহীর রাস্তা, ড্রেন, বনায়ন, পার্ক স্থাপন, সেকেন্ডারী প্ল্যান্ট নির্মান, গ্যাস আনয়ন সহ সকল প্রকার বিএনপি আমলে হয়েছে। লিটন শুধু গাছে গাছে মরিচ লাইট সংযোগ ছাড়া আর কোন উন্নয়ন করতে পারেনি।

পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানরগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ আবেদুর রেজা রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামন পরাগ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম সাম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদ সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং কয়েক হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

স/অ