নির্বাচনী প্রচারে মাদরাজ ভ্রমণের স্মৃতি, ইডলি প্রেম তুলে ধরলেন কমলা

করোনার ভায়াবহ অবস্থার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট যুদ্ধের প্রস্তুতি তুঙ্গে। আর সেই নির্বাচনী যুদ্ধে তুরুপের তাস ভারতীয়রাই। ট্রাম্পও বলছেন, তাঁর স্বপক্ষে রয়েছেন অনেক ভারতীয়রা। ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ দলের কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারে নিজের বংশ পরিচয় টেনে এনেছেন। ভোটপ্রচারে ওঠে আসছে তাঁর ছোটবেলার গল্প। যেমন দক্ষিণ ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ছেলেবেলার মাদরাজ ভ্রমণের স্মৃতি ও ইডলির প্রতি ভালোবাসার কথা তুলে ধরলেন কমলা।

শনিবার ‘সাউথ এশিয়ানস ফর বাইডেন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কমলা। সেখানে তাঁর তামিল ইন্দো-আমেরিকান মায়ের সম্পর্কেও স্মৃতিচারণা করেন মার্কিন নির্বাচনের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। একইসঙ্গে তাঁর কথায় ইডলি-প্রেম ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি পরম শ্রদ্ধার কথাও বারবার ওঠে এসেছে। ফিরে-ফিরে এসেছে চেন্নাইয়ে কাটানো তাঁর ছোটবেলার কথা। তাঁর বেড়ে ওঠার কথা। চেন্নাইয়ের রাস্তায় কিভাবে দাদুর সঙ্গে হেঁটে বেড়াতেন সেই স্মৃতিও তুলে ধরেন কমলা।

এদিকে, কমলার বাবা ডোনাল্ড এসেছিলেন জামাইকা থেকে। মা শ্যামলা আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে। পরবর্তীতে বিয়ের পর সেখানেই থাকতে শুরু করেন তাঁরা।

গতকালের সেই অনুষ্ঠান থেকেই কমলা হ্যারিস বলেন, ভারতবাসী এবং আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনপ্রাপ্তির ঘোষণায় উদ্বেলিত হয়েছিল গোটা দেশের সমস্ত নারী-পুরুষের মন। বর্তমানে ২০২০ সালের সেই ১৫ আগস্টেই দক্ষিণ-এশীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার প্রথম উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে আমি আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

মা শ্যামলা গোপালন এবং জামাইকান বাবা ডোনাল্ড জে হ্যারিসের মেয়ে কমলা বলেন, ছোটবেলায় তাঁকে এবং তাঁর বোন মায়াকে ভারত নিয়ে যেতেন তাঁদের মা। কারণ নিজের শিকড় দুই মেয়েকে চেনাতে চেয়েছিলেন বিশিষ্ট ক্যান্সার গবেষক এবং সমাজকর্মী শ্যামলা। চেন্নাইয়ে মামারবাড়ি ঘুরতে গিয়েই ইডলির প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল তাঁদের। আর সকালে চেন্নাইয়ের রাস্তায় দাদু পি ভি গোপালনের হাত ধরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তাঁর মুখে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং প্রাচীন ইতিহাসের গল্প শুনেছিলেন তাঁরা দু’বোন। যা আজ তাঁকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ