নিজে বাঁচি অন্যকেও বাঁচাই ঘরেই থাকি

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্বব্যাপী যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা সবাইকেই উপলব্ধি করতে হবে। এই পরিস্থিতি থেকে নিজে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে যার যার ঘরে অবস্থান করতে। সারা পৃথিবীর মানুষই এই নিয়ম অনুসরণ করছে। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদেরও প্রত্যেককে নিয়মটি মেনে চলা উচিত। খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে আমরা যেন ঘরের বাইরে না যাই। অন্যের সংস্পর্শ যেন এড়িয়ে চলি। আর বাইরে বের হলেও যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখি।

আমরা প্রত্যেকে যদি যার যার ঘরে অবস্থান করি তাহলে আমার কারণে অন্য মানুষ সংক্রমিত হবে না। আমিও অন্যের দ্বারা সংক্রমিত হব না। আমি সংক্রমিত না হওয়া মানে আমার পরিবারের কেউ সংক্রমিত হবে না। আমার প্রতিবেশীও সংক্রমিত হবে না। সুতরাং নিজের স্বার্থে এবং প্রতিবেশীদের স্বার্থে আমাদের সবাইকে যার যার ঘরে অবস্থান করা উচিত।

করোনাভাইরাস আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এটা প্রতিরোধে সবারই ভূমিকা রাখা উচিত। আমরা যদি বাইরে যাই, ঘুরে বেড়াই, সমাবেশে যোগ দিই; তাহলে ভাইরাসটি আরো ছড়িয়ে পড়বে। ভাইরাসটি ঠেকানোর ক্ষেত্রে প্রধানতম উপায় বলা হচ্ছে—যার যার ঘরে অবস্থান করা; একজন থেকে আরেকজনের দূরত্ব বজায় রাখা। এই নিয়মগুলো মেনে সবারই উচিত ভাইরাসটি ঠেকানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা।

আমি নিজে দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে ফিরেই স্বেচ্ছায় একা হয়ে থাকছি। সেই যে বাসায় ঢুকেছি, আর বের হইনি। নিজে বাঁচার জন্য, অন্যকেও বাঁচানোর জন্য নিয়মটি আমি মানছি। বাসায় গান শুনে, গানের চর্চা করে, পড়াশোনা করে সময়টা পার করছি। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের চিন্তা বিনিময় করছি, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

সবাই যেহেতু বাসায় অবস্থান করছি, বই পড়ে, ভালো সিনেমা দেখে কিংবা প্রার্থনার মাধ্যমে সময়টা পার করতে পারি।

আশা করি, সবাই নিয়ম মেনে চলব এবং সবার সচেতনতার মাধ্যমে এই দুঃসময়টা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।

লেখক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পী।

অনুলিখন : আজিজুল পারভেজ

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ