নিউজিল্যান্ডকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

প্রথম ইনিংসে চমৎকার একটি ডাবল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে মূল ভূমিকা রেখেছেন তিনিই। দলের প্রয়োজন মুহূর্তে আবারও ব্যাটহাতে দৃঢ়তা দেখাবেন সাকিব আল হাসান, এমনটাই আশা ছিল সবার। সেই তিনিই কিনা পঞ্চম দিনে সকালেই শূন্য রানে ফিরে যান সাজঘরে।

 

ওয়েলিংটন টেস্টে সোমবার সকালটা তাই খুব একটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের জন্য। শুরুতেই সাকিবের এই আউট অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছে দলকে।

 

অল্প কিছুক্ষণ পর ফিরে গেলেন আগের ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুলও। ২৩ রান নিয়ে তিনি যখন উইকেটে কিছুটা থিতু হয়েছেন, তখনই আঘাতটা হানেন অগনার। দলীয় ৯৬ রানের তিনিও ফিরে গেলেন সাজঘরে।

 

এর পর দলীয় ১১৪ রানের মাথায় টিম সাউদির এক বাউন্সারে মুশফিকের মাথায় আঘাত হানে বল। হেলমেটে লাগে সেই বাউন্সার, আঘাত পেয়ে উইকেটেই শুয়ে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর মাঠ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সাবধানতার কথা ভেবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মুশফিককে। ফিরে যাওয়ার আগে তিনি করেছিলেন  ১৩ রান ৫৩ বল খরচায়।

 

৫০তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদও। বোল্টের এক ইয়র্কারে সরাসরি বোল্ড হন তরুণ  পেসার। ফিরে  যাওয়ার আগে তিনি করেন ২৩ বলে ৫ রান। একটি চারের মার ছিল তাঁর এই ইনিংসে।

 

দলের ব্যাটিং বিপর্যয় ঠেকাতে উঁরুতে চোটে আক্রান্ত ইমরুল ব্যাট করতে নামেন। ইমরুলের সঙ্গে ও সাব্বির লড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি (৫০) পূর্ণ করেই সাব্বিরও ফিরে যান। এর পর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান  কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শুভাশীষ রায়ও।  তবে ইমরুল ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

তাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬০ রানে। ৫৭.৫ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ গড়ে মুশফিক বাহিনী। তাই সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষের সামনে ২১৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

 

এর আগে ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষেও ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ অবশ্য এগিয়ে ছিল ১২২ রানে। দিনের শেষপর্যায়ে তিনটি আউটই ছিল তার মূল কারণ।

 

যদিও প্রথম  ইনিংসে কিউইদের ৫৩৯ রানে অলআউট করে দিয়ে ৫৬ রানের লিডটাকে বড় করে চলছিলেন তামিম-ইমরুল। দুর্দান্ত খেলছিলেন এ দুজন। দলের রান তখন ৪৬। লিডটা কেবল শতরানের কোটা পেরিয়েছে। নেইল ওয়াগনারের করা ১৩তম ওভারে রান নিতে গিয়ে চোট পান ইমরুল কায়েস। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। এর পরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। আজ অবশ্য চোট নিয়েই ব্যাট করতে নামেন তিনি।

 

তবে এসব কাটিয়ে পঞ্চম দিনে এসে হারের শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশের। অবশ্য তা নির্ভর করছে বোলাদের পারফরম্যান্সের ওপর। তারা ভালো বল করলে হয়ত হার ঠেকানো যেতেও পারে।

সূত্র: এনটিভি