নাশকতার চার মামলায় বিএনপির ৩২ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীর রামপুরা, ধানমন্ডি, মুগদা ও সবুজবাগ থানায় নাশকতার অভিযোগে করা চার মামলায় বিএনপির ৩২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

১৪ নেতাকর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ড

রামপুরা থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফয়েজ আহমেদ ফরু, আবুল মেছের, হেলাল কবির হেলু, আলম, শোভন, কামাল হোসেন দুলু ওরফে মাওরা দুল, নাফিদ সারোয়ার তন্ময়, আশরাফুল আরিফ ওরফে ডন, মশিউর রহমান ওরফে মশু, রেজাউল করিম ওরফে রাজু, মাইন উদ্দিন আহম্মেদ তুহিন, মির্জা হাসান ইমাম বুলু, আহম্মদ আলী চৌধুরী ও দিদারুল ইসলাম।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে রামপুরা থানার মামলাটি দায়ের করা হয়।

মুগদা থানার মামলায় বিএনপির একজনের কারাদণ্ড, ৩৮ জন খালাস

রাজধানীর মুগদা থানার নাশকতার অভিযোগে ১০ বছর আগে করা এক মামলায় জহিরুল ইসলাম নামে একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্ববায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ ৩৮ জনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শাহাদত হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আল মামুন পান্না, শামিম, মোহাম্মদ আলী, মো. আব্দুল খালেক, সোহেল, তানভীর, ইমদাদুল হক।

২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

ধানমন্ডি থানার মামলায় দুজনের কারাদণ্ড

ধানমন্ডি থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির দুই কর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইমাম হোসেন ও হুমায়ুন কবির।

সবুজবাগ থানার মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

রাজধানীর সবুজবাগ থানায় ২০১২ সালের করা এক মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ হাবিবুর রশিদ হাবিব, মোরসালিন, মনির হোসেন, কাজী বাবু, সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান, আলমাস হোসেন চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান, মোহাম্মদ মাকসুদ, ভিডিও বাবু, আলামত, সালামত, ওমর ফারুক, শাজাহান, এ কে এম রাশিদুল হাসান নোমান, মোহাম্মদ গোলাম হোসেন।

জানা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।