নারীদের ওপর বেশি নৃশংস ছিল হামলাকারীরা!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গুলশানের হলি আর্টিজানে নিহত জিম্মিদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়। তবে হামলাকারীরা নারীদের ওপর বেশি নৃশংসতা চালায় বলে জানিয়েছেন মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদ।

 

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) মর্গে নিহতদের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘পাঁচ জঙ্গিসহ মোট ২৬ জনের ময়নাতদন্ত করেছি আমরা।’
তিনি জানান, জিম্মি ২০ জনের ময়নাতদন্তের সময় মোট সাত জনের শরীরে আটটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ৬ জনের শরীর থেকে ছয়টি আর বিদেশি একজনের শরীরে দুটি গুলির চিহ্ন পেয়েছি। জিম্মিদের পেছন থেকে ঘাড়ে ও মাথার পেছনে গুলি করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে রয়েছে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। বাংলাদেশি অবিন্তা কবীরের মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তে দেখতে পেয়েছি নারীদের ওপর বেশি নৃশংস ছিল হামলাকারীরা। তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, নারীদের বুকে, পেটে, হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বেশি।
নারীদের ‘সেক্সুয়ালি হ্যারাস’ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর জানতেই তাদের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে।’

 

অপরদিকে নিহত জঙ্গিদের ময়নাতদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে এদের মধ্যে তিনজনের শরীরে বোমার আঘাত বেশি রয়েছে। একজনের শরীরের একপাশ থেঁতলে গেছে, আরেকজনের হাতের কিছু অংশ এবং অন্যজনের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’

 

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। ঘটনার পর অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল করিম নিহত হন। জঙ্গিরা সেখানে তিন বাংলাদেশি ও ১৭ জন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে। শনিবার সকালে যৌথ বাহিনী সেখানে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসে নারী ও শিশুসহ ১৩ জিম্মি।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন